পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Ro १गां३ ॥ ক্রমেই দেবীবাবুর নাম বিস্তার হইতে লাগিল। দুর্গোৎসবের সময় তাহার বাটীঙ্গে বহু সমারোহে পূজা হ'ষ্টত, এবং যাত্রা ও নাচ দেখিতে ভবানীপুরের যাবতীয় লোক আসিত । তদ্ভিন্ন বাড়ীতে একটী বিগ্রহ ছিল, প্ৰত্যহ তাহার সেবা হইত, এবং বাড়ীর মেয়েরা নানারূপ ত্ৰত উপলক্ষে অনেক দান ধৰ্ম্ম করিত। দুই একজন করিয়া দেবীবাবুর দরিদ্র জ্ঞাতি কুটুম্বিনীগণ সেই বিস্তীর্ণ বাটীতে আশ্ৰয় পাইল, পাড়ার মেয়েরাও সর্বদা তথায় আসিত, সুতরাং বাহির বাট ও ভিতরবাটি সমান লোকসমাকীর্ণ । হেমচন্দ্ৰ কলিকাতায় আসিবার পর অল্প দিনের মধ্যেই দেবীপ্রসন্ন বাবুর সহিত আলাপ করিলেন, এবং দেবী বাবুও সেই নবাগত ভদ্রলোককে যথোচিত সন্মান করিয়া আপন বৈঠকখানায় লইয়া যাইতেন। বৈঠকখানায় সুন্দর পরিষ্কার বিছানা পাতা আছে, দুই তিনটী মোটা মোটা গিদে, এবং একটী কুলুঙ্গিতে দুইটী শামাদান। ঘরের দেয়াল হইতে জোড়া জোড়া দেয়ালগিরি বস্ত্রে ঢাকা রহিয়াছে এবং নানারূপ উৎকৃষ্ট ও অপকৃষ্ট ছবি বুলিতেছে। কোথায় হিন্দু দেবদেবীদিগের ছবি রহিয়াছে, তাহার পার্শ্বে জন্মনি দেশস্থ অতি অল্প মূল্যের অপকৃষ্ট ছবিগুলি বিরাজ করিতেছে। সে ছবিতে কোন রক্ষণী চুল বাধিতেছে, কেহ স্নান করিতেছে, কেহ শুইয়া রছিয়াছে ; কাহারও শরীর আবৃত, কাহারও অদ্ধেক আবৃত, কাহারও অনাবৃত । আবার তাহাদের মধ্যে করেজীিওর একখালি-“মেগৃডেলীন,” টিসীয়নের ‘ভিনস” ও লেণ্ডসিয়রের এক জোড়া হরিণও বিকাশ পাইতেছে,কিন্তু সে ছাপা এত নিকৃষ্ট