পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ। S8S জাগিতে পারি, আমাদের কিছু হয় না। তোমরা পুরুষ মানুষ, তোমাদের সমস্ত রাত্রি জাগা সয় না, আমার কথা রাখ, বাড়ী যাও । আবার কাল সকালে না হয় এসে দেখে যেও । সুধা তখন নিদ্রা যাইতেছে, নিদ্রার নিয়মিত শ্বাস প্ৰশ্বাসে বালিকার হৃদয় স্ফীত হইতেছে। শরৎ একটু নিরুদ্বেগ হইcनन ; चिन्नूद्ध निकष्ठे विक्रांश व्छेश दौ शंदेऊ वांश्ज्ञि श्हेলেন, নিঃশব্দে নৈশ পথ দিয়া আপন বাটীতে যাইয়া প্ৰাতে ৪ ঘটীকার সময় শয্যায় শয়ন করিলেন। ছয়টার সময় উঠিয়া শরৎচন্দ্ৰ তাহার পরিচিত নবীনচন্দ্ৰ নামক একজন ডাক্তারের নিকট গেলেন। তিনি মেডিকেল কলেজ হইতে সম্প্রতি পরীক্ষা দিয়া উত্তীর্ণ হইয়াছেন, এবং ভবানীপুরেই তঁহার বাটী, ভবানীপুর অঞ্চলে একটু পসার করিবার চেষ্টা করিতেছেন। তিনি অতিশয় পরিশ্রমী, মনোযোগী, বুদ্ধিমান ও কৃতবিদ্য, কিন্তু ডাক্তারির পসার এক দিনে হয় না, কেবল গুণেও হয় না, সুতরাং নবীন বাবুর এখনও কিছু পসার হয় নাই। তঁহার জেষ্ঠ্য ভ্ৰাতা চন্দ্ৰনাথ বাবু ভৱানীপুরের মধ্যে একজন প্ৰসিদ্ধ উকিল, এবং চন্দ্ৰ বাবুর সহায়তায় নবীন একটী ঔষধালয় খুলিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতেও লাভ অল্প, লোকসানের সম্ভাবনাই অধিক। এ জগতে সকলেই আপন আপন চেষ্টা করিতেছে, তাহার মধ্যে একজন যুবকের অগ্রসর হওয়া কষ্টসাধ্য, চারি দিকেই পথ অবরুদ্ধ, সকল পথই জনাকীর্ণ। তথাপি নবীন বাবু পরিশ্রমী ও অধ্যবসায়ী ছিলেন, পরিশ্রম ও যত্ন ও গুণ দ্বারা ক্ৰমে উন্নতির পথ পরিষ্কার করিবেন। স্থির সঙ্কল্প করিয়া ধীরচিত্তে কাৰ্য্য করিতেছিলেন। দুই একটী