পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ। - S86 সািভয়ে দেখিলেন নাড়ী প্ৰায় ১৫০, তাপযন্ত্র দেখিলেন তাপ ॥১০৫ f9fa 1 ঔষধ ঘন ঘন খাওয়াইতে বারণ করিলেন, আর একটী ঔষধ লিখিয়া দিলেন ও বলিলেন যে সেটা দিনের মধ্যে তিন বার, এবং রাত্ৰিতে যখন আপনাআপনি ঘুম ভাঙ্গিবে তখন একবার খাওয়ালেই হইবে । খাদ্যের বিশেষ ব্যবস্থা করিয়া গেলেন, শরৎকে ডাকিয়া বলিয়া গেলেন “এ রোগে খাদ্যই ঔষধ, সৰ্ব্বদা খাদ্য দিবে, যথেষ্ট খাওয়াইতে ক্ৰটী হইলে রোগী বাচিবে না।” কয়েক দিন পৰ্য্যন্ত সুধা সেই ভয়ঙ্কর জ্বরে যাতনা পাইতে লাগিল । শরৎ তখন হেমের কথা আর মানিলেন না, পড়া শুনা বন্ধ করিয়া দিবা রাত্ৰি হেমের বাড়ীতে আসিয়া থাকিতেন, ঔষধ আনিয়া দিতেন, নিজ হন্তে সাবু বা দুগ্ধ প্ৰস্তুত করিয়া দিতেন। বিন্দু সংসারের কার্য্যবশতঃ কখন কখন রোগীর শয্যা পরিত্যাগ করিলে শরৎ তথায় নিঃশব্দে বসিয়া থাকিতেন, হেমচন্দ্ৰ শ্ৰান্তি ও চিন্তা বশতঃ নিদ্রিত হইলে শরৎ অনিদ্র হইয়া সেই রোগীর সেবা করিতেন। জ্বরের প্রচণ্ড উত্তাপে বালিকা ছটফট করিলে শরৎ আপনার শ্ৰান্তি ও নিদ্রা ও আহার ভুলিয়া গিয়া নানারূপ কথা কহিয়া নানারূপ। গল্প করিয়া, নানা প্ৰবোধ বাক্য ও আশ্বাস দিয়া সুধাকে শান্ত করিতেন, জ্বরের অসহ্য যাতনায় ও সুধী সেই কথা শুনিয়া একটু শান্তি লাভ করিত। কখনও বালিকার ললাটে হাত বুলাইয়া তাহাকে ধীরে ধীরে নিদ্রিত করিতেন, কখন তাহার অতি ক্ষীণ দুৰ্ব্বল রক্তশূন্য গৌরবর্ণ বাহুলতা বা অঙ্গুলি গুলি S$)