পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/১৭১

SW 8 ংসার । দ্বারবান বলিল, কি নাম তোমার? গোবৰ্দ্ধন না গৌরচন্দ্ৰ /* হেম। নাম হেমচন্দ্র, তালপুখুর গ্রাম হইতে আসিয়াছি। দ্বারবান উপরে যাইয়া খবর দিল। আসিয়া বলিল উপরে যান। হেমচন্দ্ৰ উপরে গেলেন। ধনপুরের ধনেশ্বর বংশের ধনবান উত্তরাধিকারী, গৌরবর্ণ, সুন্দর, যৌবনোপেত ধনঞ্জয় বাবু কয়েকজন পাত্ৰ মিত্রের মধ্যে সেই সভাগৃহে বিরাজ করিতেছেন। তিনি শিষ্টাচার করিয়া আপন শ্যালীপতি ভ্রাতাকে মকমল মণ্ডিত সোফায় বসিতে আজ্ঞা দিলেন। হেমচন্দ্ৰ যাহার পর নাই আপ্যায়িত হইলেন। হেমবাবু সহসা কোনও কথা উত্থাপন করিতে পারিলেন না, সে সভাগৃহের শোভা দেখিয়া ক্ষণেক বিমোহিত হইয়া রছিলেন। তিনি চৌরঙ্গিত প্রাসাদ তুল্য বাটী সমূহের বারাণ্ডায় টানাপাখা চলিতেছে, পথ হইতে দেখিয়াছেন ; লাট সাহেবের বাড়ীর সিংহদ্বারা পৰ্য্যন্ত দেখিয়াছেন ; উকি ঝুকি মারিয়া দুই একটা ইংরাজি দোকানের অভ্যন্তর একটু একটু দেখিয়াছেন, কিন্তু এমন সুশোভিত সুন্দর সভাগৃহের ভিতর পদবিক্ষেপ করা তাহার কপালে এ পৰ্যন্ত ঘটে নাই! সভার মেজে সুন্দর কার্পেট মণ্ডিত, তাহাতে গোলাপ ফুটিয়া রহিয়াছে, লতায় লতায় ফুল ফুটিয়াছে, ডালে ডালে পাখী বসিয়াছে, সে কার্পেন্টের উপর হেমচন্দ্ৰ ধূলিপূর্ণ তালি দেওয়া জুতা স্থাপন করিতে একটু সঙ্কুচিত হইলেন। তাহার উপর আবলুশ কাষ্ঠের সোফা, অটােমান চৌকি, ইজিচেয়র, সাইডবাের্ড, টেবিল ; আবলুশ কাষ্ঠের উপর সুবর্ণের সূক্ষ্মী রেখাগুলি বড় শোভা পাইতেছে। সোফা ও চৌকি হরিৎ বর্ণমকৃমলে মণ্ডিত, হেমের