পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চবিংশ পরিচ্ছেদ। ૨8૧ শরৎই তাহাকে প্রণয় শিখাইয়াছে, বালিকার হৃদয়ে নূতন ভাব, নূতন চিন্তা, নূতন আশা জাগরিত করিয়াছে। আহা ! উষার আলোক যেরূপ নিস্তন্ধে ধীরে ধীরে সুপ্ত জগতে ও গভীর আকাশে প্রসারিত হয়, এই নূতন আশা অনাথিনী বিধবার হৃদয়ে সেইরূপ ব্যাপ্ত হইয়াছে, আজি লজ্জাবতী নম্রমুখী বিধবা তৃষ্ণাৰ্ত্ত চাতকের ন্যায় প্ৰণয় বারির জন্য চাহিয়া রহিয়াছে। এখন শরৎ তাহাকে বঞ্চিত কবিবেন ? চিরকাল হতভাগিনী করিবেন, কলঙ্কে কলঙ্কিত করিয়া তাহাকে এই নিষ্ঠুর সংসার মধ্যে ত্যাগ করিবেন ? হয় ত অসহ্য অবমাননা ও কলঙ্কে দগ্ধ হৃদয়া হইয়া অকালে সে প্ৰাণত্যাগ করিবে, অথবা চিরজীবন হৃদয়ে এই নিষ্ঠর শেল বহন করিয়া জীবন্মত হইয়া থাকিবে । শরৎ আর সাহা করিতে পারিলেন না, গৰ্ব্বিত যুবক আজি ভূমিতে লুষ্ঠিত হইয়া বালিকার ন্যায় রোদন করিতে লাগিলেন । ঘর বড় গরম হইল। শরৎ উঠিয়া গবাক্ষের কাছে দাড়াইলেন, শরৎকালের নৈশবায়ু ঊর্তাহার ললাটে লাগিল? তাহার জ্বলন্ত মুখমণ্ডল ঈষৎ শীতল "হইল। সমস্ত জগৎ সুপ্ত ও নিস্তব্ধ। অমাবস্যার অন্ধকারে আকাশ ও, মেদিনী আচ্ছন্ন করিয়া রহিয়াছে, আকাশ হইতে অসংখ্য তারা এই পাপপূৰ্ণ, শোকপূৰ্ণ জগতের দিকে নিস্তন্ধে দৃষ্ট করিয়া রহিয়াছে। মাতা পত্রে লিখিয়াছেন তিনি দুই একদিনের মধ্যে কলিকাতায় আসিবেন। মাতাকে এ সকল কথা বুঝাইলে তিনি বুঝিবেন ? এ কাৰ্য্যে তিনি সন্মতি দিবেন ? সে বৃথা আশা ! শরৎ মাতাকে জানিতেন, বাৰ্দ্ধক্যে, বৈধব্যে, তিনি কথনই এ