পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SGS সংসার ভাষিণীদিগের সে অমৃত বচন এক্ষণে কিছু দিনের জন্য মুলতুবি রহিল,-বাবুর পীড়া সহসা এত বৃদ্ধি পাইল য়ে তাহার প্রাণের ংশয় ; তখন সকলে তাঁহার চিন্তায় ব্যাকুল হইল। তখন কালীতারার খুড়-শাশুড়ীরা বড়ই ভয় পাইল, সে বিপুল বংশ গোছাইয়া রাখিতে পারে এমন আর একজন লোক সে বংশে ছিল না। কালীতারা ভয়ে ও চিন্তায় শীর্ণ হইয়া গেল, খাইবার সময় খাওয়া হইত না, রাত্ৰিতে চিন্তায় ঘুম হইত না, কেবল বাৰু কেমন আছেন জানিবার জন্য ছট ফট্‌ করিতেন। ভগিনীপতির সঙ্কটাপন্ন পীড়ার সংবাদ পাইয়া শরৎচন্দ্র সে বাটীতে আসিলেন, কয়েক দিন তথায় রহিলেন। হেমচন্দ্ৰ ও প্ৰত্যহ প্ৰাতঃকালে আসিয়া দ্বিপ্রহরী পৰ্য্যন্ত তথায় থাকিতেন। তাহাকে দেখিয়া লোকে কাণাকণি করিত, তিনি তাহা গ্ৰাহ্য করিতেন না । হেমকে দেখিয়া শরৎও একটু অপ্রতিভ হইলেন। কিন্তু উদারচরিত্র হেম শরৎকে এক পাশ্বে ডাকিয়া লইয়া গিয়া বলিলেন, “শরৎ তুমি আর আমাদের বাড়ী যাও না কেন ? তুমি মন্দ কাৰ্য্য কর নাই, লজ্জা কিসের ? বিবাহে তোমার মাতার মত নাই, মাতার কথা অনুসারে কাৰ্য্য করিয়াছ তাহা কি নিন্দনীয় ? তোমার মাতার अङ इनि যদি বিবাহ করিতে স্বীকার করিতে, আমরা' স্বীকার করিতাম না। শরৎ তোমার কাৰ্য্যে দোষ নাই, দোষেরা কাৰ্য্য না করিলে নিন্দার কারণ নাই। লোকের কথা আমরা গ্ৰাহ্য করি না, তুমিও গ্রাহ্য করিও না।” শরৎ হেমের এই কথাগুলি শুনিয়া স্তম্ভিত হইলেন। যে বাল্যবন্ধুকে তিনি জগতের ঘূণাস্পদ করিয়াছেন, র্যাহার পবিত্র সংসার