পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষড়বিংশ পরিচ্ছেদ। ངེ་ তিনি কলঙ্কিত করিয়াছেন, সেই ঋষিতুল্য ব্যক্তি আপনি আসিয়া শরতের কুত ধরিয়া তাহাকে সকল মার্জনা করিলেন! শরৎ হেমের কথায় উত্তর দিতে পারিলেন না, কৃতজ্ঞতায় তাহার চক্ষু জলপুর্ণ হইল, মনে মনে কম্বুিলেন “এত দিন আপনাকে জ্যেষ্ঠ সহোদর বলিয়া স্নেহ করিতাম, আদ্য হইতে দেব বলিয়া পূজা করিব।” হেমচন্দ্র ও শরৎ রোগীর যথেষ্ট সুশ্রুষা করিলেন। ঠাকুরের প্ৰসাদ বন্ধ করিয়া দিলেন। অর্থব্যয়ে সঙ্কুচিত না হইয়া কলিকাতার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসকগণকে প্ৰত্যহ ডাকাইতে লাগিলেন, তাহাদিগের আদেশ সম্পূর্ণরূপে পালন হয়। দেখিবার জন্য শরৎ দিবারাত্রি রোগীর ঘরে থাকিতেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। এক সপ্তাহ উৎকট পীড়া সহ্য করিয়া কালীতারার স্বামী মানবলীলা সম্বরণ করিলেন। কালীর শরীরখানি চিন্তায় আধখানি হইয়া গিয়াছিল ;- এ সংবাদ পাইবামাত্র চীৎকার শব্দে রোদন করিয়া ভূমিতে ठाछांद्ध थांझे ब्रा भूछिडा श्ल। শরৎ অনেক জল দিয়া বাতাস করিয়া দিদিকে সংজ্ঞা দান করিলেন, তখন কালীতারা একবার স্বামীকে দেখিবে বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল। শরৎচন্দ্র সেটা নিবারণ কৰুিতে চেষ্টা করিলেন, পারিলেন না,-আলু থালু বেশে মুক্ত কেশে শোকবিহবলা কালীতারা স্বামীর ঘরে দৌড়াইয়া গেলেন, মৃত স্বামীর চরণ দুটী মস্তকে স্থাপন করিয়া ক্ৰন্দন ধ্বনিতে সকলের হৃদয় বিদীর্ণ করিলেন। কালীতারা স্বামীর প্রণয় কখনও জানে নাই, আদ্য সে প্রণয়টা জানিল, শূন্য-হৃদয় 及文