পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨e ংসার । আটকে থাকে, তা থাকবে না, যখন আমরা আছি তখন কিছু আটকাবে না।” এইরূপে বুদ্ধাদিগের যথেষ্ট আশ্বাস বাক্য ও তাহার সঙ্গে বিন্দুর বাপের নিন্দ, 'বিন্দুর মার নিন্দা ও বিন্দুর নিন্দা সম্বন্ধে প্রচুর বর্ণনা শ্ৰবণ করিয়া বিশেষ আশ্বস্ত ও আপ্যায়িত হইয়া বিন্দুর মা বাড়ী আসিতেন। গ্রামের মধ্যে দুই একজন প্ৰাচীন লোক ছিলেন তঁাহারা অনেক লোক দেখিয়াছেন, অনেক গ্রামে যাতায়াত করেন, অনেক ঘর জানেন, অনেক মেয়ের সম্বন্ধ করিয়া দিয়াছেন । বিন্দুর মা কয়েক দিন তঁহাদের বাড়া হাঁটাহাটি করিলেন, কোন দিন ছেলেদের জন্য "দুষ্ট চারি পয়সার চিনির বাতাসা লইরা গেলেন, কখন বা কিছু মিশ্ৰী বা মিষ্টান্না লইয়া গিয়া গৃহিণীদিগের মনস্তুষ্টি করিলেন। গৃহিণী:দিগকে অনেক স্তুতি মিনতি করিলেন, তাহারাও আশ্বাস বাক্য দিলেন, সন্ধান করিবেন, কৰ্ত্তাকে বলিবেন, এইরূপ অনেক মধুর বচন বলিলেন । অবশেষে বিন্দুস মা ঘোমটা দিয়া সেই কৰ্ত্তাদিগেরই মিনতি আরম্ভ করিতে লাগিলেন, পথে ঘাটে দেখা হইলে গরিবের কথাটি মনে রাখিবর জন্য মিনতি করিলেন । তাহারাও বলিলেন “তা এ কথা আমাদের এত দিন বলনি ? এ সব কাষ কি আমাদের না বলিলে হয়, ঐ ও পাড়ার ঘোষেদের বাড়ীর কালীতারার বুের জন্য কত হাঁটাহঁার্টি করেছিল, শেষে বড় বেী একদিন আমাকে ডেকে বলিলেন, অমনি কাযটা হুইয়া গেল। কেমন বে দিয়ে দিয়েছি, রায়েদের বনিয়াদি ঘর, খাবার অত্বাব নাই, টাকার অভাব নাই, যেন কুবেরের ঘর, সেই ঘরের ছেলের সঙ্গে ঘোষেদের মেয়ের বের সম্বন্ধ করিয়া দিলাম। ছেলেটা