পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ। več সনাতনের একমাত্র উপায় তাহার গরীয়সী সহধৰ্ম্মিণী, অতএব তাহাকেই একটু অনুনয় করিয়া বলিল “এই দরজাটা খুলে উকি মেরে দেখত কে এসেছে। যদি হারাণ সিকদার মহাজন হয়। তবে বলিস বাড়ী নেই ।” সনাতনের প্রণয়িনী প্ৰিয় স্বামীর “পোড়ারমুখী” প্রভৃতি মিষ্টালাপ শুনিয়া এতক্ষণ চুপ করিয়াছিলেন, এখন সময় পাইলেন। স্বামীর কথাটী শুনিয়া আস্তেই পাশ ফিরিয়া শুইলেন। একটী হাই তুলিয়া সনাতনের দিকে পেছন করিয়া অসঙ্কুচিত চিত্তে আর একবার নিদ্রা গেলেন। সনাতন দেখিল বড় বিপদ, অথচ আপনি সহসা বাহির হইতে পারে না, কি করে ? দুই একবার প্রণয়িনীকে ডাকিল, কোন উত্তর নাই, একবার টানিল, সাড়া নাই, একবার ঠেলা দিল, তথাপি চৈতন্য হইল না ! সকল যত্ন ব্যর্থ গেল, সকল বাণ কাটা গেল, তখন বীর পুরুষ একেবারে রোষে দণ্ডায়মান গুইয়া রিক্ত হন্তে সুঝিবার উদ্যম করিল। বলিল “এত বেলা হলো এখনও মগীর উঠা হইল না, এতে ডাকাডাকি করিলাম DD DBDBDDBBDBD DD DBS ggEB BDBD DBDS DLDB গুতো দিলেই ঠিক হবে।” * সনাতনপত্নী দেখিলেন আর মৌন অস্ত্ৰ খাটে না, এখন অন্য অস্ত্ৰ না ধারণ করিলে বড় বিপদ । অতএব তিনিও একবারে বিছানায় উঠিয়া বসিলেন, বলিলেন “কি হয়েছে কি ? সকাল থেকে উঠে বাপ মা তুলে গাল দিচ্ছ কেন, মাতাল হয়েছ নাকি ?-দেখা না, মিনিষের মরণ আর কি ” বিধুমুখী এইরূপে স্বামীর দীর্ঘায়ু বাঞ্ছা করিয়া পুনরায় পাশ ফিরিয়া গুইলেন । •