পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/৬০

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । , (9 পণ্ডিত ও পণ্ডিতাগণ নিৰ্দ্ধারণ করুন। আমরা কেবল এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি যে হেমচন্দ্ৰ অনেকক্ষণ অবধি উমাতারায় সহিত বাক্যালাপ করিতে করিতে এবং অনেকবার উমাতারার সেই সুবর্ণমণ্ডিত মুখের দিকে চাহিতে চাহিতে একটু সন্দিগ্ধমন হইলেন। তঁহার বোধ হইল যেন সেই হীরকমণ্ডিত সুন্দর ললাটে এই বয়সেই এক একবার চিন্তার ছায়া দৃষ্ট হইতেছে, যেন সেই হাস্য-বিস্মচারিত নয়নের প্রান্তে সময়ে সময়ে চিন্তার ছায়া দৃষ্ট হইতেছে। এটা কি প্রকৃতই চিন্তার ছায়া ? না। সেই সমাদানের আলোক এক একবার বায়ুতে স্তিমিত হইতেছে তাহার ছায়া ? না ভবিষ্যৎ জীবন সেই যৌবনের ললাটে अi?iन छाया अश्डि कब्रिटडgछ ? ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । বিষয় কৰ্ম্মের কথা । আহারাদি সমাপ্ত হইলে হেমচন্দ্ৰ বাহির বাটীতে আসিলেন, দেখিলেন তারিণী বাৰু তখন একাকী বসিয়া আছেন। প্ৰদীপের স্তিমিত আলোকে একখানি কাগজ পড়িতেছেনসেখানি দৈনিক বা সাপ্তাহিক বা মাসিক পত্র নহে, সে একটা পুরাতন তমসুক। তারিণী বাবুর কপালে দুই একটী বয়সের রেখা অঙ্কিত হইয়াছে, শল্পীর স্থূল, বর্ণ শ্ৰাম, চক্ষু দুটী ছোট ছোট কিন্তু উজ্জল, মন্তকে টাক পড়িতেছে, সম্মুখের কয়েকটী চুল পাকিয়াছে। তারিণী বাবুর আকারে বা আচরণে কিছু মাত্র বাহ্যিাড়ম্বর বা অর্থের দৰ্প ছিল না, যাহারা বিষয় স্থষ্টি করেন।