পাতা:সংসার (রমেশচন্দ্র দত্ত).pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r ংসার । হইতে এক ক্রোশ দূরে সপ্তাহে দুইবার করিয়া একটী হাট বসে বস্ত্ৰাদি আবশ্যক হইলে গ্রামের লোকে সেই হাটে যায়। পুষ্করিণীর নাম “ তালপুখুর," এবং সেই নাম হইতে গ্রামটাকেও লোকে তালপুখুর গ্ৰাম বলে। বৈশাখ মাসে একদিন সন্ধ্যার সময় গ্রামের একজন নারী কলসী লইয়া সেই পুখুরে গিয়াছিলেন, এবং তঁহার সঙ্গে সঙ্গে তাহার দুইটী কন্যা ও গিয়াছিল। রমণীর বয়স ৩৫ বৎসর হইবে, বড় কন্যাটার বয়স ৯ বৎসর ছোটটার বয়স ৪ বৎসর হইবে । সন্ধ্যার সময় সে পুখুর বড় অন্ধকার হইয়াছে এবং সেই অন্ধকারে সেই ভীম বৃক্ষ শ্রেণী আকাশে কৃষ্ণ মেঘের ন্যায় অস্পষ্ট দৃষ্ট হইতেছে। অল্প অল্প বাতাস বহিতেছে ও সেই অন্ধকারময় তাল বৃক্ষগুলি সঁাই সঁাই করিয়া শব্দ করিতেছে, নির্জনে সে শব্দ শুনিলে সহসা মন স্তম্ভিত হয়। পুখুরে আর কেহ নাই, রমণী ঘাটে নামিয়া কলসী নামাইলেন, মেয়ে দুটীও भांब्र निक iिgांछेन । কলস নামাইয়া নারী একবার আকাশের দিকে দৃষ্টি করি।- লেন, দিনের পরিশ্রমের পর একবার বিশ্রামসুচক দীর্ঘশ্বাস নিক্ষেপ করিলেন। আকাশের অল্প আলোক সেই শান্ত নিয়নদ্বয়ে পতিত হইল, সন্ধ্যার বায়ু সেই পরিশ্রমে ক্লান্ত ঈষৎ স্বের্দযুক্ত ললাট শীতল করিল এবং সেই চিন্তাঙ্কিত মুখ হইতে দুই একটা চুলের গুচ্ছ উড়াইয়া দিল। নারী দিনের পরিশ্রমের পর একবার আকাশের দিকে দেখিয়া, সেই শীতল বায়ু স্মৃষ্টি চুইয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিলেন। পরে বলিলেন,