পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y o R माथे । পড়িল, দুইবার পড়িল,—এই কথাগুলি তাহার। প্ৰাণে বিশেষ রূপে অঙ্কিত হইল । সে অতিশয় ভাবিতে ভাবিতে আহার করিতে বসিল । আহারের সময় মাতার মুখের দিকে চাহিয়া তাহার বোধ হইতে লাগিল যেন তাহার কোন সৎ ইচ্ছা পূর্ণ হয় নাইযাহা আর হইবে না । সরোজা পুর্বে মনে করিয়াছিল এই ছুটীর কয় দিন খুব আমোদে কাটাইবে, কিন্তু এখন তাহার ইচ্ছা হইল “যতদূর পারি কাজ করিয়া আমার সময়ের সদ্ব্যবহার করিব।” “আমি আর এ সময় পাইব না”—এই ক্ষুদ্র কথাটী তাহার | প্ৰাণকে নাড়িয়া দিলী ; তাহার প্রাণে আর এক নূতন চিন্তার স্রোত বহাইয়া দিল। যদি মাতা দিন দিন রোগ হইয়া যান, যদি তাহার অসুখ বুদ্ধি পায়, যদি তাহার মৃত্যু হয়, এই সকল মহাকষ্টকর ভাবনায় বালিকাকে অস্থির করিতেছিল। সে কেবল এই ভাবিতে লাগিল। ‘হায় ! আমি মায়ের নিকট তাহার স্নেহের জন্য ঋণী রহিলাম। তাহার পরিশোধ কিরূপে দিব । যাহা হউক যথাসাধ্য চেষ্টা করিব।” আহারের পর সে আঙ্কলদে নাচিতে নাচিতে মাকে গিয়া জিজ্ঞাসা করিল “মা ! তুমি না। বলেছিলে একদিন ভবানীপুরে গিয়ে মাসীর সঙ্গে দেখা করিবে । আজই যেওনা,-আমি তোমার আজকার সমস্ত কাজ করিব।” মাত উত্তর করি লেন “না মা ! আজি অনেক কাজ অাছে,আজি আর যাওয়া হবে না।” সরোজা বলিল “হঁ। মা । আজই যাওনা-আজ আর আমার কোন কাজ নাই, কেবল তোমার কাজই ক’রব।” DBDDYS SDDBD BB BBDS SDDB DDD আসিয়া তাহার কাৰ্য্য সমস্তই হইয়াছে দেখিতে পাইলেন । সেই দিন হইতে সরোজাকে আর কোন কাৰ্য্যের জন্য কিছুই বলিতে হয় নাই। রাজার ভদ্রতা ও সুবুদ্ধি। একদিন কোন একজন রাজা একটী দরিদ্র দিকে উপদেশ দিতেছিলেন দেখিয়া, একজন খোসামুদে আশ্চৰ্য্য হইয়া তাহার কারণ জিজ্ঞাসা | করিল ; তিনি উত্তর দিলেন, “দেখ, যদিও বালকটী গরিব তথাপি উহার আত্মা আমারই ন্যায় মূল্য- 1 বান, উহার ও আমার উভয়েরই এক ঈশ্বর ও এক পথ। তবে কেন উহাকে নীচ বলিয়া ঘূণা | করিব ۶ এযে নুতন মেয়ে ! একবার একটী নৈতিক বিদ্যালয় সংস্থাপন করিবার নিমিত্ত একজন ধাৰ্ম্মিক লোককে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছিল । তিনি প্ৰাতঃপকালের কাজে অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িয়াছিলেন,—বৈকালে আপনার কাজ করিতে পরিবেন না, এইরূপ মনে করিলেন । কিন্তু তাহার অনিচ্ছা সত্বেও সেই স্থানে যাইতে হইল । তিনি সেই স্থানে গিয়া সেই সকল লোককে বিশেষ করিয়া দেখিতে লাগিলেন । তিনি দেখি । লেন একটি বালিকা অতি কদৰ্য্য রূপে কাপড় পরিয়া সেই স্থানের এক পাশ্বে বসিয়া আছে ; তাহার রৌদ্রতপ্ত ছোট মুখখানি হাত দিয়া ঢাকা, এবং চক্ষের জ্বল হস্তের মধ্য দিয়া দর দর করিয়া পড়িতেছে । তাহার ক্ৰন্দন দে পিয়া বোধ হইল যেন, দুঃখে কষ্টে তাহার ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণটী ফাটিয়া যাইতেছে। শীঘ্রই তার একটি একাদশবর্ষীয়। বালিকা সেইখানে আসিল । সে এই বালিকাটিকে কঁাদিতে দেখিয়া তাহার নিকটে গেল এবং অতি স্নেহের সহিত তাহকে নিকটের নদীর ধারে একখানি কাঠের উপর বসাইয়া হস্তে করিয়া জল লইয়া তাহার চক্ষু ও অশ্রুমাখা মুখ খানি । তিল করিয়া, তাহার সহিত অতি প্ৰফুল্ল ভাবে কত আলাপ করিতে লাগিল। ক্ষুদ্র বালিকাটী পুনরায় প্রফুল্প হইল, চোখের জল তাহার নিকট বিদায় লইল, মুখখানি ক্ষের হাসিমাখা হইল। সেই ভদ্র লোকটী নিকটে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন