পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

བན་ ԳR সখী । করে সে দিন রাত্রে কিছু শিশির হয় না কেন ? আমার ঠোট ফেটে গিয়েছিল, মা বলেন যে শিশির দিলে ভাল হবে। আমি ভোরে উঠিয়া শিশির খুজিবার জন্য কত পাতা, ঘাস, ফুলগাছ ঘূরিলাম কোথাও দেখিতে পেলাম না। তখন মাকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলিলেন “মেঘ হইলে শিশির পড়ে না।” আমি তখনই আপনাকে এ কথাটা জিজ্ঞাসা করিব মনে করিয়াছিলাম। কিন্তু মনে ছিল না, হঠাৎ আজ মনে পড়িল ; বলিয়া দিন না ?” क्रि.jāौ क्लिन *उारेऊ ? ठिंक कशी ; श्रौऊকালে যে দিন মেঘ করে সে দিন হিমা পড়ে না। বটে।” আর আর সকলেই এই কথার সায় দিল। ঠাকুরদাদা বলিতে আরম্ভ করিলেন। “যে দিন মেঘ হয় সে দিন যথার্থই কিছু শিশির জমিতে পায় না, কেন—বলিতেছি। বলিবার পূর্বে কিন্তু আর একটা কথা বুঝান আবশ্যক। কি শীত, কি গ্রীষ্ম সব কালেই যে দিন মেঘ হয় সে দিন বড় গরম হয়, তা বােধ হয় সকলেই জান। এক এক দিন এমনি গুমোট হয় যে প্ৰাণ আই ঢাই করিতে থাকে, মানুষকে অস্থির করিয়া তুলে। আবার যখন সন্ধ্যার সময় একটু বায়ু বহিয়া মেঘগুলাকে সরাইয়া দেয়, কিম্বা এক পশলা বৃষ্টি হইয়া মেঘ কাটিয়া যায়, তখন প্রাণ বঁাচে, ঠাণ্ড হয়। কেমন ? (সকলে “এ কে না জানে ?” ) বেশ, কেন হয় বল দেখি ? নিশ্চয়ই জান না। আমি বলিতেছি গুন। পূর্বেই বলিয়াছি যে সব জিনিস একই সময়ে তাপ গ্ৰহণ ও বিকীরণ উভয়ই করে। মনে আছে ? পৃথিবীও সুৰ্য্যের নিকট হইতে দিনের বেলা তাপ গ্ৰহণ করিতে থাকে, আবার তখনই খানিক খানিক তাপ বিকীরণও করিতে থাকে। কেমন করিয়া জানিতে পারি ? আচ্ছা, মনে কর এই গ্ৰহণ হইতে বিকীরণের তাপ বাদ দিলে যা বাকী থাকে। দিনের বেলা আমরা সেই টুকুই অনুভব করিতে পাই ; যে টুকু চলিয়া যায়। সে টুকুও অনুভব করি না, আর যে তাপটা সুৰ্য্য হইতে আসে। তারও সবটা পাই না । বিকীর্ণ হইয়া যেটা বাকী থাকে তাহাই আমরা পাই। বেশ, এখন কোন কারণে যদি ঐ বিকীরণ বন্ধ করা যায়, তবেই সুৰ্য্য হইতে প্ৰাপ্ত সমুদায় তাপই অনুভব করা যাইবে। এখানেও ঠিক তাই হয়। রোজ আমরা দেখিতে পাই,সুৰ্য্য হইতে গৃহীত তাপের খানিকটা বিকীর্ণ হইয়া আকাশে ছড়াইয়া যায়, পৃথিবী থেকে উড়ে যেখানে ইচ্ছা চলিয়া যায়, তাই গরম কম বোধ হয়। মেঘ হইলে ঐ বিকীরণ হওয়ার পক্ষে বাধা পড়ে, উপরে ছাতের মত মেঘ স্তুপে স্তুপে রহিয়াছে তা ভেদ করিয়া পৃথিবীর বিকীর্ণ তেজ আকাশে পলাইয়া যাইতে পায় না, এজন্য সেখান থেকে আবার প্রতিফলিত হইয়া অর্থাৎ ঠিকারিয়া পৃথিবীর দিকে আসে, কাজেই পৃথিবীর নিকটের বায়ু খুব গরম বোধ হয়। বুঝিলে ? এই জন্য দুইটী কারণে মেঘ হইলে বায়ু গরম থাকে। :-১মতঃ, বিকীরণ ভাল করিয়া হইতে পায় না, ২য়তঃ, মেঘের দিকে যে উত্তাপটা উঠিয়াছিল সেটা আবার প্রতিফলিত হইয়া পৃথিবীর দিকেই ফিরিয়া আসে। এই দুইটী কারণে মেঘলা রাত্রে পৃথিবী শীতল হইতে পায় না। কাজেই তাহার নিকটের বায়ুও শীতল হয় না, কোন জিনিসও শীতল হয় না । এই জন্য ঐ বায়ুর বাষ্প বাস্পই থাকিয়া যায়, শিশির হইতে পায় না, ঐ জন্য গাছের তলায় বা ঘরের ছায়ার মধ্যেও শিশির হয় না। বুঝিলে ? (সকলেই “হঁ” ) । བ༠༤