* 7 | No2)
উৎকৃষ্ট ; ইহাই পরিষ্কার করিলে ইংরাজী চিকিৎসা শাস্ত্রে “কাষ্টর অইল” বলা হইয়া থাকে। লোকে এই তৈল জোলাপের জন্য খায়। বড় বিচি হইতে যে নিকৃষ্ট তৈল বাহির হয় তাহাই পোড়াইবার জন্য ব্যবহার হয়। কিন্তু রোড়ীর তৈল যে আরও কত প্ৰকার কাজে লাগে তাহ হয়ত অনেকে জানেন না । বিলাতে অনেক দোকানদার আছেন, তাহারা পরিষ্কার রোড়ীর তৈলের সহিত নানা প্ৰকার গন্ধ দ্ৰব্য মিশাইয়া মাথার চুলে লাগাইবার জন্য সুগন্ধি তৈল, সাবান ও পমেটম প্রভৃতি প্ৰস্তুত করিয়া থাকেন। আফ্রিকা দেশের নিগ্রো জাতি এই তৈলে রন্ধন করিয়া থাকে এবং আমাদের দেশে উড়ে জাতির অনেকেও গায়ে মাখিবার বা রন্ধন করিবার জন্য রোড়ীর তৈল ব্যবহার করে। রঙ্গীন বস্ত্রের রং উজ্জ্বল করিবার জন্য, ছিট কাপড়ের রং পাকা করিবার জন্য এবং “মরক্কো লেদার” নামক প্ৰসিদ্ধ ও মূল্যবান চামড়া প্ৰস্তুত করিবার জন্যও এই তৈল বিস্তর খরচ হয়। ইহা ভিন্ন কলের গাড়ি, কাপড়ের কল, বড় বড় কলের চাকা প্রভৃতি ভাল চলিবার জন্যও এই তৈল লাগান হয়। রোড়ীর গাছের আর একটী বিশেষ গুণ এই যে, যদি কোন ক্ষেত্রের চতুদিকে এই গাছের বেড়া দেওয়া হয় তাহা হইলে তাহার শস্যে কখনও কোন প্রকার পোকা ধরে না। পৃথিবীর সকল স্থান অপেক্ষা ভারতবর্ষেই রেডার চাষ অধিক, এই জন্য আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, রুষিয়া, ইতালি, ফ্রান্স, সিংহল, চীন, মরীচ ও অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জে उाद्रउदीर्ष श्शे८उ द९ग८द्ध @ांश ७० || ७२ व्याश्क টাকার তৈল এবং ১১ ৷৷ ১২ লক্ষ টাকার বিচি রপ্তানী হয় । এতক্ষণ রোড়ীর বিচির তৈল সম্বন্ধেই অনেক مهت« LSLSeSeSLLSqAeSSqSLSLA LALASALALASLLALLSLSLSSSLSSSMTL TLLSLLLS কথা বলা হইল, কিন্তু তৈল ছাড়া আর একটি বিশেষ কাজের জন্য যে ভারতবর্ষে রোড়ীর চাষ হইয়া থাকে তাহা বলা হয় নাই। এই গাছ হইতে এক রকম মোটা ও মজবুত রেশম তৈয়ার হইয়া থাকে, উহাকে এরী এওঁী বা এরীওঁী রেশম বলে। আসাম দেশের অনেক স্থলে এবং বঙ্গদেশের কোন কোন জেলায় এইরূপ বিস্তর রেশম প্ৰস্তুত হয় । ইহাতে পরিবার কাপড়, গায়ের চাদর প্রভৃতি কত রকম কাপড় হয়। এরী সুতা এতদূর মজবুত যে একজন লোক একখানি এরী সুতার কাপড় আমরণ ব্যবহার করিয়াও ছিড়িতে পারে না। কিন্তু রেশম কেমন করিয়া জন্মে ? পাঠক পাঠিকাগণ ! পর পৃষ্ঠায় এই যে দুইটা সুন্দর পতঙ্গের ছবি দেখিতেছি। ইহারাই এই রেশম প্ৰস্তুত করিয়া থাকে। এই পতঙ্গ কেমন করিয়া জন্মে তাহা কি জান ? ভগবানের কেমন আশ্চৰ্য্য নিয়মকৌশলে ইহাদের জন্ম হয়, এবং ইহাদের জন্মাইবার উদ্দেশ্য কি তাহ পাঠ করিলে অবাক क्रुछ्रेgऊ शूद्म ! যে দুইটী পতঙ্গের ছবি দেওয়া হইল ইহাদের একটী পুরুষ ও অপরটা স্ত্রী। স্ত্ৰীজাতীয়ের শরীরের আয়তন পুরুষদিগের অপেক্ষা কিছু বেশী । পশু, পক্ষী কিম্বা কীট মাত্ৰই যেমন জন্মাইবার পর তাহাদের নির্দিষ্ট খাদ্য খায় এবং শাবক প্রসবের পরেও বাচিয়া থাকে। এই পতঙ্গ দেহের গতি সেরূপ নয়। ইহারা জন্মিবার তিন চারি দিন পরে গাছের ডাল ও পাতায় কতকগুলি রাশীকৃত • ডিম পাড়িয়াই মরিয়া যায়। যে কয় দিন বঁাচে কোন খাদ্য খায় না । ডিমগুলি গাছের ডাল পালায় ছোট ছোট মুক্তার মত ঝুলিতে থাকে। এই ডিম হইতে ক্রমে খুব ছোট কৃমির আকারে এক
- এক একটী পতঙ্গের ডিম্বের সংখ্যা • • • হইতে ৫ • • ।
ခန္နီ