পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e ܟ 1 গাছ জন্মে এবং আসামে যত এরিওঁী রেশম জন্মায় এমন অপর কোথাও নয়। সেখানকার ধনী, মধ্যবিত্ত ও অসভ্য পাহাড়ী লোকদিগের অনেকেই এই সূতা ব্যবহার করে। রোড়ীর রেশমের সূতা লামঞ্জিষ্ঠা ও নীলবড়ি প্রভৃতি দ্বারা রং করিয়া সেই রঙ্গীন রেশম নানা প্ৰকার রেশমী কাপড়ের জন্য অথবা মোটা মোটা সূতার কাপড় বা চাদরের উপর ফুল কাটিবার জন্য খরচ হয়। বাঙ্গলা দেশের মধ্যে গয়া, চট্টগ্রাম, জলপাইগুড়ি, দাৰ্জিলিং, দিনাজপুর, পুরী, পূর্ণিয়া, রংপুর ও সাহাবাদ জেলা সকলেও অনেক রোড়ীর রেশম তৈয়ার হইয়া থাকে। ডিম ফুটিয়া কীটের জন্ম হইতে গুটি বাধা পৰ্য্যন্ত ৩০ দিনের অধিক সময় লাগে না। সুতরাং রোড়ীর পতঙ্গ হইতে বৎসরে ১২ বার রেশম সংগ্ৰহ করা যাইতে পারে। এক সের রেশমী সুতার দাম দ০ আনা হইতে ১৩ | টাকা । পাঠক পাঠিকাগণ ! দেখলে ত, যে সামান্য গাছ বনে জঙ্গলে কত জন্মায়, যাহাকে অনাদর করে হয়ত কত লোকে নষ্ট করে তাহা হইতেই মানুষের কত উপকার হয়। এত দিন তোমরা হয়ত অনেকেই ভেরেণ্ডার তৈল ছাড়া গাছের BDBB SBBB BK DDBLDDDDS DDDS DBDD BB DBD তোমরা সেই সামান্য গাছ সম্বন্ধে কত নূতন কথা শিখিলে। এইরূপে আমাদের খাওয়া পরা বা নিত্য খরচের এক একটা জিনিসের গুণাগুণ ভাল করিয়া জানিয়া রাখিলে তোমাদের জ্ঞান কেমন বৃদ্ধি হয় এবং ভবিষ্যতে তোমরা কত কাজের লোক হতে পার। পরমেশ্বর যাহা কিছু সৃষ্টি করিয়াছেন। সকলই আমাদের উপকারের জন্য। আমরা যে ঘাস পায়ে মাড়াইয়া চলিয়া যাই তাহা দ্বারা পৃথিবীর কত কল্যাণ |

সাধিত হয় একবার তাহ ভাবিলে কেনা আশ্চৰ্য্যাत्रिऊ श्श ? ーでエム& 2ーごー ত বর্ষে আমরা তোমা¥Z দিগকে বিদ্যাসাগর भा শয়ের জীবনচরিত কিছু [ বলিয়াছি। কিন্তু তঁাহার গুণের কথা সমুদয় বলা হয় নাই। যে গুণের জন্য বিদ্যাসাগর মহাশয় দেশে বিখ্যাত, সেটা দয়া। জগতের দীন দুঃখী, কাঙ্গাল, দরিদ্রদের বন্ধু এমন অল্পই। আছে । জগতের দুঃখীদের দুঃখের কথা শুনিয়া কতবার যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চক্ষে জল পড়িতে দেখিয়াছি, তাহা তোমাদিগকে সংখ্যা করিয়া বলিতে পারি না । অনেক দিন হইল আমাদের বাসাতে পাড়ার একটী বালিকা খেলিতে আসিত । মেয়েটার বয়স তখন আট কি নয়। বৎসর। মেয়েটা অতি সুশ্ৰী ছিল, তাহার মুখখানি এমন সুন্দর যে দেখিলেই ভাল বাসিতে হয়। তখন বিদ্যাসাগর মহাশয় আমাদের বাসাতে মধ্যে মধ্যে বেড়াইতে আসিতেন । একদিন তিনি সেই বালিকাটাকে দেখিতে পাইলেন। দেখিয়াই বলিয়া উঠিলেন, “বাঃ বেশ মেয়েট, কার মেয়ে হে!” আমরা বলি . . .