পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Šბზატ 키 1 ভীমের কপাল । ७छै व्यथाम्न । छंद পাঠিকাগণ বোধ হয় কিছু আS) শ্চৰ্য্য বোধ করিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছেন। “তইতো, কেমন হ’লে ? টাকা না নিয়েই চলে গেল ! ব্যাপারটা কি ?” । সুতরাং অধিক বিলম্ব না করিয়া এই খানেই বলিয়া রাখি ব্যাপারটা কি ? যে নৌকা ভীমেন্দ্ৰ ইতিপূর্বে স্থির করিয়াছিল, তাহার মাঝিরা প্ৰথমতঃ স্বীকৃত ছিল বটে, কিন্তু ভীমেন্দ্ৰ চলিয়া গেলে, তাহারা পরামর্শ করিল যে ওরূপ ছেলেমানুষকে লইয়া যাওয়া উচিত নয়, এই স্থির করিয়া তাহার নৌকা খুলিয়া পরপারে গিয়া বঁধিয়া থাকিল। এদিকে | আর একখানি নৌকা সেই ঘাটে আসিয়া বঁধিয়াছিল, এ নৌকা বগুড়ার পুলীশের দারগা বাবুর। গঙ্গাধর বাবু কোন সরকারী কাজে সুজানখালীর | নিকটে আসিয়াছিলেন ; রাত্ৰিতেই তাহার ফিরিয়া যাইবার কথা ;-তিনি পুলীশের লোক, চোর ডাকাত ধরিবার জন্য সৰ্ব্বদা সাবধানে ঘুরিয়া | বেড়াইতেন। মাঝিরা ভঁাহার অনুমতি পাইয়া| ছিল, “আমি নৌকায় উঠিলেই নৌকা খুলিয়া | দিবে, কোনও কথাবাৰ্ত্তার প্রয়োজন নাই-তাহা | না হইলে কাজ উদ্ধার করা কষ্টকর হইয়া উঠিবে ;” ! আবার যখন ভীমেন্দ্র নৌকায় উঠিয়াছিল, বাবুটীরও | সেই সময় আসিবার কথা ছিল ; সুতরাং ভীমেন্দ্ৰ | নৌকায় উঠিব। মাত্ৰই মাঝিরা নৌকা খুলিয়া দিল । * **\বলিয়াছি ভীমেন্দ্র শীতে কষ্ট পাইয়াছিল, দী মেন্ত্রের দোষ ;-নৌকায় বেশ বিছানা निषण्वत्र তাহা ব্যবহার করিতে অৰ্দ্ধেক পথে গিয়া যখন মাকিরা | দেখিল ভীমেন্দ্ৰ তাহাদের বাবু নহে, তখন তাহারা ভাবিল ‘‘এখন যদি ফিরিয়া বাই, তাহা হইলে দারগা বাবু বিরক্ত হইবেন, যদি বগুড়া পৰ্য্যন্ত যাই, তাহা হইলেও বিরক্ত হইবেন,—তবে একবার বগুড়ায় ঘরে যাওয়াই ভাল।” এই ভাবিয়া তাহারা ভীমেন্দ্ৰকে লইয়া আসিয়াছিল । ভীমেন্দ্ৰকে নামইয়া দিয়া মাঝিরা কিছুকাল বিশ্রাম করিল এবং আবশ্যক দ্রব্যাদি ঘর হইতে লইয়া পরে দারগা বাবুকে কি বলিবে ভাবিতে ভাবিতে নৌকা छाछिशा लि ! ভীমেন্দ্ৰ নগর মধ্যে প্ৰবিষ্ট হইল। করতোয়। নদীর তীরে বগুড়া নগর অবস্থিত । স্থানে স্থানে নদীর ধারের শোভা অতি মনোহর-বিশেষতঃ যাহারা নূতন আসিয়াছে তাহদের পক্ষে। ভীমেন্দ্র এ শোভা দেখিবার জন্য দাড়াইল না । সেই আত্মীয় স্বজন শূন্য স্থানে ভীমেন্দ্র ক্ষুধার জ্বালায় মলিন মুখে একাকী বেড়াইতে লাগিল। প্ৰাতঃকালে অনেক বাবু বেড়াইতে বাহির হইয়াছেন, তাহারা কেহই ভীমেন্দ্ৰকে কিছুই জিজ্ঞাসা করিালেন না, ভীমেন্দ্ৰও কাহাকে কোন কথা বলিল না । এক জন ১৫ বৎসরের বালীক ক’ত- ক্ষণ এইরূপে বেড়াইতে পারে ? পরিশ্রান্ত হইয়া ভীমেন্দ্র একটা ঝাউগাছের তলে বসিয়া পড়িল । বাতাসের সহিত মাথা নাড়িয়া ঝাউগাছগুলি হুঁ, ইকরিয়া যেন ভীমেন্দ্রের দুঃখে দুঃখ প্ৰকাশ করিতেছিল। ভীমেন্দ্র সেই শব্দ শুনিতে শুনিতে ঘুমাইয়া পড়িল। এই সময়ে মুনসেফ আদালতের উকিল হরিপদ বাৰু এই রাস্তায় যাইতেছিলেন, তিনি দেখিলেন একটী শীর্ণকায় বালক পথের পার্থে পড়িয়া রহিয়াছে। সেই নগরের মধ্যে হরিপদ বাবু ব্ৰহ্মজ্ঞানী বলিয়া সকলের নিকট পরিচিত। র্যাহার হরিপদ বাবুকে চিনিতেন না, তাহার অনেক সময় তঁহাকে গালাগালি দিতেন, কিন্তু তঁাহাকে যাহারা চিনিতেন, তাহারা সকলেই