পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· 1 ዓ• गर्थ । | এদিকে বিশ্বামিত্ৰ দিন গণিতেছিলেন, কখন রাজাকে তাড়া দিবার দিন আসিৰে-কাজেই সময় মত কাশীতে দেখা দিলেন। গিয়া দেখেন অৰ্দ্ধেক DD BBD DBDBLLSiTBB DDDD আর রাগ দেখে কে ? বলিলেন “এই যতটুকু বেলা আছে, এর মধ্যেই যোগাড় করে রাখ, নইলে DBD DBLBD D S DB SgEK DBBD DBDDS BkBS এই বলিয়া বিশ্বামিত্ৰ চলিয়া গেলেন। হরিশ্চন্দ্র নিজেকে বিক্রয় করিবার জন্য সেই দ্বিপ্রহরের | রৌদ্রে কাশীর বাজারে বাজারে ঘূরিয়া বেড়াইতে | লাগিলেন। কিন্তু কেহই তাহাকে কিনিতে চাহে না । অবশেষে এক চণ্ডাল সেই খানে আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার অপরিস্কার কালীর মত | কাপড়ে চৰ্বির গন্ধ, গলায় হাড়ের মালা, চোখ বসিয়া গিয়াছে, চুলে এত ধুলো দেখিলেই বােধ | হয় যেন সমস্ত রাস্তােটা পা দিয়া না হাটিয়া | মাথায় হাটিয়া আসিয়াছে, লম্বা লম্বা চুল কপাল ঢাকিয়া, চোখ ঢাকিয়া পড়িয়াছে, তাহার ভিতর দিয়া পেচকের মত মিটির মিটির করিয়া তাকা| ইতে তাকাইতে, মুলোর্দাতে হাসিতে হাসিতে চণ্ডাল সেইখানে আসিয়া উপস্থিত হইল। সে | আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কে চাকর বেস্তিচে ? মুই তোকে কিনমু। বালো আইচে ; এডডা। চাকর পালিতে মুই বেঁচে যাই । তোর দাম কতরে ?” চণ্ডালের ভাবভঙ্গী দেখিয়াই হরিশ্চন্দ্রের বিরক্তি হইল, কিন্তু তিনি স্থির ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি কে বাপু” চণ্ডাল আবার মূলোর্দাতে হাসিল, কপালের চুল সরাইয়া হরিশ্চন্দ্রের পা অবধি মস্তক পৰ্যন্ত বিশেষ করিয়া দেখিল, এবং বলিল “মুই বড়িলোক, হাকোল মশানের কর্তা-মোরে না। 池 (*_ < জান৷ |” শ্মশানের কৰ্ত্তা বলিলেন । পুছ ক'রে কোনো মড়া কেউ পোড়াতি পারে না— | ব; তোমার কি কাজ করতে হবে, । “cमांद्र व कांभ शंकठिी ८ङॉक कट्टुडि आtद । cषांद्र प्ष्द्रवि, भक्षुांद्र कां° षप्फु| कवि, ८ मछा পোড়াতি আসবে, তার কাছে হোলো কাহন কড়ি | লবি। লে, লে হব মোকে দিবি । এখন বল | তোর দাম কত।” হরিশ্চন্দ্ৰ বলিলেন, “৪ কোটী | মোহর।” চণ্ডাল বলিল “তুই বা চাস তাই তোকে | দিচ্ছি। এখন আয় মোর সাথে অায়।” এই কথা | ৰলিয়া চণ্ডাল হরিশ্চন্দ্ৰকে ৪ কোটীর মোহর দিল ;- বিশ্বামিত্ৰ ৭ কোটী সোণ লইয়া বাজাইতে বাজা ইতো স্বস্থানে চলিয়া গেলেন । বিশ্বামিত্ৰ কোথায় গেলেন, তাহা আমাদিগের জানিবার প্রয়োজন নাই । ইহার পর হরিশ্চন্দ্ৰ ও শৈব্যার কি হইল, তাহাই দেখা যাউক । চণ্ডা লের চাকর হইয়া হরিশ্চন্দ্ৰ তাহার সমস্ত কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন, শ্মশানে মৃত দেহের কাপড় ইত্যাদি তুলিয়া রাখেন, যাহারা পোড়াইতে আসে তাহাদিগের নিকট পয়সা লন, এবং অন্যান্য সময়ে শূকর চরান । বিধাতা কেন যে অনেক সময় মহাধাৰ্ম্মিকদিগকে মহাক্লেশে ফেলেন। আর মহাপাপীরা পরের সর্বনাশ করিয়া, পৃথিবীকে জ্বালাতন করিয়াও পায়ের উপর পা রাখিয়া মহাসুখে জীবন কাটায়। এ সকল প্ৰথম প্ৰথম বড় আশ্চৰ্য্যের বিষয় বলিয়া মনে হয় ; কিন্তু একটু ভাবিয়া দেখিলেই বুঝা যায় যে ধাৰ্ম্মিকদিগের এইরূপ পরীক্ষা তাহদের উপকারের কারণ। স্বর্ণ অগ্নিতে পোড়াইলে যেমন অধিক উজ্জ্বল হয়, প্ৰদীপের আলো যেমন গভীর অন্ধকারেই অধিক শোভা পায়, ধাৰ্ম্মিকের চরিত্র ও } সেইরূপ বিপদাপদের মধ্যেই পরীক্ষিত হইয়া সুন্দর শোভা ধরে। সমস্ত বিপদাপদের মূলে এইরূপে দেখিলে দেখা যায় যে সেখানেও ঈশ্বরের দয়া ! এই জন্যই ধাৰ্ম্মিক পুরুষগণ ভয়ানক বিপদে পড়িলেও হাত দুটী যুড়িয়া বলিয়া থাকেন, ‘ঘোর বিপদেও ব’লব তোমায় দয়াময় ।”