পাতা:সখা (১ম ২য় ৩য় বর্ষ) - শিবনাথ শাস্ত্রী .pdf/৯২

게 1 ܠܘܬ সুরেন্দ্ৰ বাবুর অবমাননায় সমস্ত বাঙ্গালা অব মানিত হইয়াছে, এ কথা বলিব । কেহ কেহ বলিয়া থাকেন, “আমরা সুরেন্দ্ৰ বাবুর দুঃখে দুঃখ প্ৰকাশ করিতেছি।” তাহারা ভ্ৰাস্ত। সুরেন্দ্র বাবুর আবার দুঃখ কি ? আপনার কৰ্ত্তব্য কাজ করিয়া যে কষ্ট পায় তাহার কি দুঃখ ? দেশের উপকার করিতে গিয়া যাহার কষ্ট হয়, তাহার জন্য আমরা কঁদিব কেন ? সুরেন্দ্র বাবু পুণ্যবান, দেশের জন্য তিনি জেলে গিয়াছেন। তাহার অ্যাজ অনন্দের দিন, তাহার আজ গৌরব করিবার সময়। আমরা তাহার গৌরবে আপনাদিগের গৌরব হইল মনে করিতেছি। তাহার শাস্তিতে এই হতভাগা জাতির কাল মুক আজি উজ্জ্বল হইল! পাঠক ! পাঠিক ! তোমার হতভাগ্য মাতৃভূমির জন্য এক ফোটা চক্ষুজল ফেলিতে SDSDK aLSLD BB LBKBD DK0 SDBGDSLD S BDBBS গর পবিত্ৰ হইবে, এক দিন তোমার নিজের ক্লেশে দেশের দুর্গতি দূর হইবে ; এক দিন তোমার গৌরবে ও তোমার জাতির মুখ উজ্জ্বল হইবে । ঠাকুরদাদার গল্প। কদিন বিকালে নবীন বাবু S1 তাহার ছোট ছোট দৌহিত্র, পৌত্ৰ গুলিকে সঙ্গে করিয়া গঙ্গাতীরে U^ বেড়াইতে গেলেন । গঙ্গার জল কেমন বায়ু বেগে নাচিতেছে, ছোট ছোট ঢেউ গুলি কেমন কল কল করিয়া তীরে আসিয়া আঘাত করিতেছে, আবার ফিরিয়া যাইতেছে। সকলেই তথায় বসিয়া শোভা দেখিতে লাগিলেন । বালক বাবুদের তাহা ভাল লাগিল না। নলিন একটি প্ৰজাপতিকে ধরিতে ছুটলেন, বিনয় জলে চিল ফেলিয়া মজা দেখিবেন বলিয়া ঢ়িলের সন্ধানে শেষ আছে। চলিলেন, কিশোরী ঠাকুরদাদার জুতা লইয়া দূরে পলায়ন করিল। নবীন বাবু বিনয়কে কাছে ৷ ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “আচ্ছা বল দেখি গঙ্গায় এত জল কোথা হইতে আসিল ?”বিনয় বসিল, কিছু ক্ষণ ভাবিয়া বলিল ‘কেন, চির কালই ত আছে! আমি আর বছরে এসে ও দেখেছি গঙ্গায় তা এত জলই ছিল 'কিশোরী ও গল্প শুনিতে আসিয়া জুতা রাখিয়া বসিল, ক্রমে নলিন ও অ্যাসিয়া যুটিল—তাহারা १छ द डॉक्ल বাসে । কিশোরী।—“আচ্ছা জাল ত ক্ৰমাগতই চলিতেছে, এক বারও স্থির হয় না, তবে ফুরায় না। কেন ? এ কথাটী আজ আমাকে বুঝাইয়্য দাও না ।” নবীন বাবু।–“আমি ও সেই কথা । জিজ্ঞাসা কছিলাম, দেখি নলিন কি বলে ।” নলিন বলিল ‘পিসী বলিয়াছেন। গঙ্গা যে ঠাকুর, ঠাকুরের বুঝি আবার জল ফুরায় ?”নবীন বাবু একটু হাসিয়া বলিলেন “ ভাবে মন দিয়া শুন । নলিনের পিসীর বাড়ীতে গঙ্গা আছে তোমরা জান । সে এই গঙ্গা, সেবার সেই যে তোমরা নৌকায় করিয়া সেখানে গিয়াছিলো।” मकCल ।-भgन्म उभाCछ । নবীন বাবু। —এখন বুঝিলে যদি কেহ ক্ৰমাগত উত্তর দিকে নৌকা করিয়া যায়, তবে গঙ্গার দুধারে কত গ্রাম, কত সহর, কত বন, কত পুৱাতান ভাঙ্গা মন্দির, কত কত সুন্দর বাগান, কত বিস্তীর্ণ মাঠ, প্ৰভৃতি দেখিতে দেখিতে যায় । ক্রমিক এক গ্ৰাম ছাড়াইয়া অন্য গ্রামে, এক দেশ হইতে অন্য দেশে এই রূপে না থামিয়া যদি দিন রাত্রি চলে। তথাপি ও এই গঙ্গা, এই রূপ স্রোত দেখিতে পায় । । বিনয় -তবে কি গঙ্গার শেষ নাই ? কিশোরী।--ভাও কি ও কি কখন হয় ? **