পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪৭

ጏbሙ8 ήδ5δ) ηγηr o রাবণ আমার নাম, জানে মুনিগণে। বড় প্রীতি পাইলাম তোমা দরশনে | ফল মূল দিয়া করি উদরপূরণ। গৃহস্থের ঘরে গেলে করায় ভোজন ॥ তোমার সহিত আজি অপূর্ব দর্শন। ভিক্ষা দিলে যাই চলে নিজ নিকেতন ॥ হইল অনেক বেলা, কর যে বিধান (১)। তোমার পুণ্যেতে গিয়া করি স্নান-দান ॥ শ্রীরামের আসিতে বিলম্ব বহু দেখি । হইল মানের বেলা, দেখ চন্দ্রমূখী ॥ জানকী বলেন, দ্বিজ, করি নিবেদন । পঞ্চ ফল ঘরে আছে, করহ ভক্ষণ ৷ রাবণ বলিল সীতা, ব্রত করি বনে । আশ্রমে (২) না লই ভিক্ষা, জানে মুনিগণে ॥ জানকী বলেন, দ্বিজ, এক কথা কহি । আজ্ঞা বিনে প্রভুর ঘরের বাহির নহি ৷ রাবণ বলিল, ভিক্ষা আনহ সত্বর। নতুবা উত্তর দেহ, যাই নিজ ঘর ॥ জানকী বলেন, ব্যর্থ (৩) অতিথি যাইবে । ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম নষ্ট হবে, প্রভু কি বলিলে। বিধির নির্বন্ধ কভু না হয় অন্যথা । বিধির লিখন মত ঘটিবেক তথা ৷ ফল-হাতে বাহির হইলেন জানকী । লইতে আইল দুষ্ট রাবণ পাতকী ৷ ধরিয়া সীতার হাত লইল ত্বরিত। জানকী বলেন, হায় একি বিপরীত ৷ দুরাচার দূর হরে পাপিষ্ঠ দুৰ্জ্জন। আমা লাগি হবে তোর সবংশে মরণ | রাবণ বলিল, সীতা, শুনহ বচন । আত্ম-পরিচয় কহি, আমি দশানন ॥ r (२) विषान-वjवश्! । (२) श्राथtभ-शृं८ए । (७) वार्ष-विक्न भएन । [ অরণ্যক রাক্ষসের রাজা আমি, লঙ্কা নিকেতন । কুড়ি হাত, কুড়ি চক্ষু, দশটি বদন ৷ তপস্বীর বেশ ধরি আমি তপোবন । অনুগ্রহ কর মোরে, আমি দাস জন ৷ ইন্দ্রের অমরাবতী জিনি লঙ্কাপুরী। জগত-দুলভ ঠাই দেখিবে সুন্দরি ॥ তোমার রূপেতে আমি বড় ভালবালি। অন্য যত মহিষী তোমার হবে দাসী ৷ সৰ্ব্বোপরি তোমাকে করিব ঠাকুরাণী । তুমি অন্ন দিলে, অন্ন পাবে অন্য রাণী ॥ হইবে তোমার পূজা, বাড়িবে সম্মান। সুবৰ্ণ-মাণিক্যময় রবে তব স্থান ৷ করিয়া রামের সেবা জন্ম গেল দুঃখে । করিলে আমার সেবা রবে নানা সুখে ॥ ত্রিভুবন আমার বাণেতে কম্পমান। মনুষ্য রামেরে আমি করি কীট-জ্ঞান ৷ অল্পবুদ্ধি সে রামের, অত্যন্ত্র জীবন। যুগে যুগে চিরজীবী আমি দশানন ॥ সীতে, তুমি সুন্দরী লাবণ্য আর বেশে । তোমা হেন সুন্দরী আমাকে অভিলাষে ॥ কোপাম্বি তা সীতাদেবী রাবণ-বচনে । রাবণেরে গালি দেন, যত আসে মনে | অধাৰ্ম্মিক অগণ্য অধম দুরাচার। করিবেন রাম তোরে সবংশে সংহার || শ্রীরাম কেশরী, তুই শৃগাল যেমন । কি সাহসে তাহারে বলিস্ কুবচন ॥ বিষ্ণু-অবতার রাম, তুই নিশাচর (৪) । রাম আর তোরে দেখি অনেক অন্তর || যদি রাম থাকিতেন, অথবা লক্ষণ । করিতিস্ কেমনে এ দুষ্ট আচরণ ॥ (a) নিশাচর - রাক্ষস ।