পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৬৩

শাস্তং শাশ্বতমপ্রমেয়মনথং নিৰ্ব্বাণশান্তিপ্রদং । ব্ৰহ্মাশস্তৃফণীন্দ্রসেবামনিশং বোস্তবেস্তং বিভূম। রামাখ্যং জগদীশ্বরং সুরগুরুং মায়ামমুয়ং হরিম্ । বন্দেহহং করুণাকরং রঘুবরং ভূপালচুড়ামণিম্। ঐরাম-লক্ষ্মণকে দেখিয়া সুগ্ৰীবাদি বানৱগণের বিতর্ক । শ্রীরাম-লক্ষণ দোহে ভ্ৰমেন দণ্ডকে । হনুমান বলে, রাজা, না হও চিন্তিত। সহায় করিতে যান বানর-কটকে ॥ না দেখিয়া বালিরে হইলা কেন ভীত ॥ দুই ভাই উঠিলেন পৰ্ব্বত-শিখরে। বানর চঞ্চল জাতি, লোকে উপহাসে। দেখিয়া বানর পঞ্চ (১) শঙ্কিত অস্তরে | চঞ্চল হইলে রাজা লোকে আরো দোষে । স্বগ্ৰীব বলিল, দেখ আইসে দুই নর। আমি আগে জেনে আসি কোথাকার বীর। মনে করি বালিরাজ পাঠাইল চর। তথ্য না জানিয়া কেন হইলে অস্থির। বুদ্ধির সাগর বালি বুদ্ধি ধরে নানা। সুগ্ৰীব বলিল, দেখি তপস্বী উভয় । তত্ত্ব কর, সত্য মিথ্যা তথ্য যাবে জানা ৷ কিন্তু ধনুৰ্ব্বাণ ধরে, মনে লাগে ভয় ॥ সুগ্ৰীবের বচনে বানর পালে পালে। হইবে তপস্বি-বেশ রাজার কুমার। লাফে লাফে উঠে সবে বড় বড় ডালে ৷ বাট যাহ হনুমান, আন সমাচার। সে গাছ সহিতে নারে সবার আস্ফাল (২) । যান হনুমান বীর তপস্বীর বেশে । ফল-ফুল ভাঙ্গে কত শাল তাল ডাল। পরম-গৌরব ভাবে উভয়ে সম্ভাষে। বন-জন্তু যত ছিল পৰ্ব্বত-শিখরে। কৃত্তিবাস পণ্ডিতের মধুর পাঁচালি। সিংহ ব্যাঘ্র মহিষ পলায় উচ্চৈঃস্বরে। রচেন কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডে প্রথম শিকলি। (১) বানর পঞ্চ—নল, নীল, গবাক্ষ, হনুমান ও সুগ্ৰীব। ১৮৭ পৃষ্ঠা স্রষ্টব্য (২) আঙ্কাল-লাম্বালাকি