পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড ] தி. বল বুদ্ধি চূর্ণ হবে শুন উপদেশ। বালির মধুর বনে করহ প্রবেশ। রাজভোগ মধুবন রাজার ভাণ্ডার। বন ভাঙ্গি মধু খেয়ে করহ সংহার। বালি রাজা না সহিবে মধু-অপচয় (১)। প্রাণেতে মারিবে তোরে বালি মহাশয় ॥ তোর জ্যেষ্ঠ মায়াবী ছিল যে মহাবলী। তাহারে মারিল সে বানর-রাজা বালি ৷ শুনিয়া জ্যেষ্ঠের কথা কুপিত অন্তরে। তখনি চলিল বালি-ভূপতির পুরে। শৃঙ্গাঘাতে করিল কানন খণ্ড খণ্ড। কুপিত হইল বালি, সংগ্রামে প্রচণ্ড ॥ বীরধড়া পরে বীর কাকালি বেড়িয়া। দ্বিগুণ ইন্দ্রের মালা (২) পরিল তুলিয়া | স্ত্রীগণ-বেষ্টিত বালি আইল নির্ভয় । তারাগণ মধ্যে যেন চন্দ্রের উদয় | রুষিল মহিষাসুর আরক্ত-লোচন । স্ত্রীগণ সম্মুখে করে তর্জন-গর্জন। মধুপানে মত্ত তুমি ঘূর্ণিত-লোচন। মত্ত জন মারি, মোর নাহি প্রয়োজন ৷ প্রাণদান দিমু তোরে আজিকার তরে ; আজি রাত্রি বঞ্চ গিয়া আপনার ঘরে | স্বখে রাত্রি বঞ্চ গিয়া প্রত্যুষ বিহানে (৩)। বল-বুদ্ধি চূর্ণ করি বধিব পরাণে ॥ স্ত্রীগণেরে বালি পাঠাইল অন্তঃপুর। বীরদাপ (৪) করি বলে শুন রে অসুর। রণে প্রবেশিলে বুঝি রণের পরীক্ষা। পড়িলি বালির হাতে, নাহি তোর রক্ষা ॥ যমরাজ যদি ধরে আছে প্রতিকার । বালির স্থানেতে কারো নাহিক নিস্তার। Ўo)ўзда“. २०¢ স্বৰ্গ, মৰ্ত্ত্য, পাতালে, যতেক বীরগণ । আইলে আমার যুদ্ধে অবশ্য মরণ। কপটে বাচিতে চাহ কালিকার তরে। সে কথা থাকুক, আজি যাও যম-ঘরে। কুবুদ্ধি পাইল তোরে, মোর সঙ্গে রণ। তোর দোষ নাহি, তোর ললাটে লিখন ॥ পলাইয়া যা রে তুই লইয়া পরাণ । আজিকার দিবস দিলাম প্রাণদান ৷ কোপেতে মহিষাসুর কাপে থর থর। পুনশ্চ বলিছে তারে বালি কপীশ্বর। আগে মোরে হান, তোর বুঝিব বিক্রম। তোর ঘা সহিয়া তোরে দেখাইব যম ॥ তোর যত শক্তি থাকে তত শক্তি হান । এই দণ্ডে আমি তোর বধিব পরাণ | রুষিয়া দুন্দুভি দৈত্য দুই শুঙ্গ মারে। খান খান করিয়া বালির অঙ্গ চিরে | সৰ্ব্বাঙ্গে বিদীর্ণ বালি, তবু নাহি হটে । অশোক কিংশুক (৫) যেন বসন্তেতে ফুটে | দৈত্যের বিক্রম দেখি বালি রাজা হাসে । করিল অদ্ভুত রণ অস্থর-বিনাশে । মহিষ বালির সঙ্গে যুঝে চমৎকার। পাদপ-পাথরে বালি করে মহামার। মারে গাছ পাথর সে মহিষ উপর। পরাভব নহে দৈত্য, যুঝে নিরস্তর। দুই শৃঙ্গ নত করি বালিরে বধিতে । বালির সম্মুখে দৈত্য গেল আচম্বিত৷ দুই শৃঙ্গ বালি তার ধরিলেক রোবে। শুঙ্গ ধরি মহিষেরে তুলিল আকাশে। দুই শৃঙ্গ ধরি তার ঘন দেয় পাক । ঘন পাক ফেরে যেন কুমারের চাক । (১) অপচয় -ক্ষতি। ২) দ্বিগুণ ইন্দ্রের মালা-কুড়চ ফুলের অধং বীজের দো-ক্ষে 31 মালা ; (৩) প্রত্যুববিহানে—তোর ও সকাল বেলায়। (৪) বীরাপ-খুব তেজের সহিত । (৫) কিংশুক -শিমুল স্থল ।