পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড ] সোনার শিমূল গাছ সৰ্ব্ব গায় কাটা। সুবর্ণের ফল-ফুল ধরে গোটা গোটা ॥ জল হৈতে রাক্ষসেরা চড়ে তদুপরে। তার কাছে দেবগণ নাহি যায় ডরে | তথা যদি জানকীর না পাও উদেশ । পূৰ্ব্ব সাগরের তীরে করিহ প্রবেশ। আড়ে দীৰ্ঘে সে সাগর দ্বাদশ যোজন । সাবধানে পার হইও সব কপিগণ ॥ উদয়-গিরির সর্ব অঙ্গ স্বর্ণময়। পৃথিবী উজ্জল করে সূর্য্যের উদয় ॥ তিন লক্ষ দুই শত যোজনের পথ । চক্ষুর নিমিষে সূৰ্য্য করে গতায়াত ৷ মুনিগণ তপ করে যেমন বিধান । বালখিল্য নামে মুনি বিঘঙ্গ-প্রমাণ (১)। উদয়গিরির পূৰ্ব্বে নাই সূর্য্যোদয়। অন্ধকারময় দেশ জানিহ নিশ্চয় ৷ সে দেশ কখন নহে আমার গোচর । দেখিয়া উদয়-গিরি ফিরিবে বানর | যাইতে উদয়-গিরি লাগে একমাস । মাসেকের বাড়া হৈলে সবার বিনাশ | মাসেকের মধ্যে যে বানর না আইসে । সবংশে মরিবে সেই আপনার দোষে । বানর-কটক সুগ্ৰীবের আজ্ঞা পায়। সীতার উদ্দেশে তারা পূৰ্ব্ব দিকে যায়। কৃত্তিবাস কবির কবিত্বময় বাণী । অদ্ভূত রচিত পুৰ্ব্বদিকের পাচনি (২) । কৃত্তিবাস পণ্ডিত মুরারি ওঝার নাতি । যার কণ্ঠে বিরাজেন সদা সরস্বতী ॥ -***

sốB 5FDyma'r २९x সীতাম্বেষণে সুগ্ৰীব কর্তৃক দক্ষিণ দিকে বানর-সৈন্ত-প্রেরণ। দক্ষিণে রাবণ বৈসে সুগ্ৰীব তা জানে। বড় বড় বীর পাচে (৩) সেই ত দক্ষিণে ॥ বালির কুমার পাচে মন্ত্রী জাম্ববান। পবননন্দন পাচে বীর হনুমান ৷ ঋষভ-কুমুদ পাচে রম্ভ যোদ্ধপতি। নল নীল পাচিলেক (৪) মুখ্য সেনাপতি ॥ সুগ্ৰীব বলেন, সৈন্য, শুন সাবধানে । সীতার উদ্দেশে যাহ তোমরা দক্ষিণে ॥ যত নদ নদী দেখ যত দেখ দেশ । যত যত গিরি অাছে করিলে প্রবেশ || উত্তম অধম স্থানে করিহ প্রবেশ । যেরূপে পাইতে পার সীতার উদ্দেশ | কৃষ্ণবেণী নদী যে নৰ্ম্মদা গোদাবরী। যাবে অশ্বমুখ-গিরি, নদী যে কাবেরী ॥ পাইয়া পৰ্ব্বত বিন্ধ্য সহস্ৰ-শিখর। নানা ফল ফুল তথা দিব্য সরোবর। পরেতে কলিঙ্গদেশ যাইবে উৎকল । মলয়-পৰ্ব্বতে গিয়া দেখিবে কেরল | মহেন্দ্ৰ-পৰ্ব্বতে যাবে অত্যুচ্চ শিখর। সৰ্ব্বক্ষণ থাকেন তথায় পুরন্দর ৷ তাহার দক্ষিণে যাইও সাগরের তীর। চন্দনের বন তথা সুগন্ধি সমীর । সুগন্ধি চন্দন নিরপিয়া সারি সারি। সাগরের পারে যাইও স্বর্ণলঙ্কাপুরী। মৈনাক-পৰ্ব্বত আছে সাগর ভিতর। সলিল হইতে উঠে সহস্ৰ শিখর ॥ সোনার পর্বত দশদিকের প্রকাশ । সহস্ৰ শিখর উঠে জুড়িয়া আকাশ । == (১) বিধত প্রমাণ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও কনিষ্ঠাগুলির শীর্ষ পৰ্ব্যস্ত বিস্তৃত স্থান ; অৰ্দ্ধ হস্ত। (২) পাচনি – পাঠানো । ৩) পাচে–প্রেরণ করে । (৪) পাচিলেক - পাঠাইল ।