পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७० [ কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড পবনের পিতা সে সূর্য্যের হয় সখা । যার পাপ থাকে তারে নাহি দেয় দেখা | সাগর ভিতরে আছে সিংহিকা রাক্ষসী । বিষমা রাক্ষসী সেই সৰ্ব্বলোকে ঘুষি ॥ বিষমা রাক্ষসী সেই ছায়া পাইলে ধরে। বার শত জীব জস্তু গিলে একবারে | সত্তর যোজন তমু আড়ে পরিসর । দু-শত যোজন দীর্ঘ উভে কলেবর ॥ অৰ্দ্ধ তনু জলে থাকে অৰ্দ্ধেক আকাশ । তাহা দেখি বীরগণ না পাইও ত্রাস || সকল বানর তথা হইও সাবধান । এক লাফে সাগর লঙ্ঘিলে হবে ত্রাণ ॥ । সাগর তরিবা তবে শতেক যোজন । সাগরের পারে লঙ্কা, তথায় রাবণ | চারিদিকে সাগর মধ্যেতে লঙ্কাগড় । দেবতার গতি নাই লঙ্কার নিয়ড় (১) || খুজিবে লঙ্কার মধ্যে জানকী দেবীরে। যতন করিয়া তথা সকল বানরে। সুগ্ৰীব বলেন, শুন পবন-নন্দন। তুমি সে সাধিবে কাৰ্য্য লয় মম মন ৷ অগ্নি জল নাহি মান পবনের গতি । তুমি সে দেখিবে সীতা লয় মোর মতি। ভোমার প্রসাদে আমি সত্যে হব পার । তব যশ ঘুষিবেক সকল সংসার ॥ তুমি যদি সীতা দেখ তবে আমি সুখী। আর কে দেখিবে সীতা ইহা নাহি দেখি ৷ সুগ্ৰীব রামের প্রতি বলিল বচন। জানাইতে জানকীরে দেহ নিদর্শন ৷ হনুমান সহ তার নাহি পরিচয় । কি জানি বানর দেখি যদি পান ভয় ৷ শ্রীরাম বলেন, শুন সুগ্ৰীব সুহৃৎ । অঙ্গুরী দিলাম আমি সীতার প্রঙ্গীত (৩) ৷ দিলেন অঙ্গুরী রাম নিজ-নিদর্শন। হাত পাতি নিল তাহা পবন-নন্দন | বিদায় হইয়া বীর হনুমান নড়ে। পতঙ্গ-শরীর যেন ঝাঁকে ঝাকে উড়ে ॥ চলিল সকল ঠাট সুগ্ৰীব-আদেশে । দক্ষিণের পাচনি রচিল কৃত্তিবাসে । কৃত্তিবাস পণ্ডিত মুরারি ওঝার নাতি। যার কণ্ঠে সদা কেলি করেন ভারতী (৩) ৷ সীতান্বেষণে সুগ্ৰীব কর্তৃক পশ্চিমদিকে বানর-সৈন্য প্রেরণ যেখানে দেখিবে যত নদ নদী দেশ । সুষেণ, সৰ্ব্বত্র তুমি করিবে প্রবেশ। সুস্থান কুস্থান না করিহ বিবেচনা। অন্বেষিবে জানকীরে করিয়া মন্ত্রণা। সিন্ধু ও মলয়দেশ, (৪) কাবেরীর তীর । ক্রিমিজীব (৫) দেশে যাইও, সে অতি গভীর। তাহার নিকটে আছে কেতকী-কানন । দিশপাশ (৬) নাহি তার, অনেক যোজন। দুই পাশ্বে কেয়াবন দেখিবে অপার। কেয়াবন-কাটা যেন করাতের ধার। সকল বানর তথা হইও সাবধান । শীঘ্র শীঘ্ৰ গেলে তথা পাইবে হে ত্ৰাণ ॥ কেয়াবন এড়িয়া যাইবে তাল-বনে । দুঃখ পাগরিবে সবে সে তাল ভক্ষণে ॥ o निजड़-मिकः । (২) প্রতীত –বিশ্বাস-যোগ্য। (৩) ভারতী—সরস্বতী । (৪।৬) পরিশিষ্ট (১) দিশপাশ -ঠিকানা ; স্থির । - - - - - -