পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫৬

লঙ্কাকাও ] ডাক দিয়া রাম বলে, শুনরে রাবণ । মোর বাণ খেয়ে তুই হলি অচেতন ॥ আজি না মারিয়া তোর ছিন্ন করি কেশ। গৌকিকতা করে যাহ যেমন সন্দেশ (১)। রঘুবংশে জন্ম মোর, রাম নাম ধরি। এক দিনের রণে আমি বৈরী নাছি মারি। আজি তোরে মারিলে বিবাদ ঘুচে যাবে। জ্ঞাতি বন্ধু আদি তোর অনেক বাচিৰে ॥ এক লক্ষ পুত্র তোর সওয়া লক্ষ নাতি । একজন না রাখিব বংশে দিতে বাতি | শেষে তোরে বধিব করিয়া লণ্ডভণ্ড । বিভীষণের উপরে ধরাব ছত্ৰদণ্ড । সভাখগু সকলে রামের কথা শুনে । অৰ্দ্ধচন্দ্র-বাণ রাম করেন সন্ধানে । বাণে দশদিক আলো অগ্নি হেন ছুটে । দশ মাথার মুকুট একই বাণে কাটে। কাটা গেল মুকুট, খসিল দশ পাগ । ভঙ্গ দিল দশানন, নাহি পায় লাগ । সারথিরে আজ্ঞা দিল রাজা সে রাবণ । কুম্ভকর্ণের নিত্ৰাভঙ্গ ভঙ্গ দিয়া গেল রাবণ পেয়ে অপমান । পাত্ৰ-মিত্র ল’য়ে বৈসে করিয়া দেয়ান । ত্ৰিশ কোটি সেনাপতি চৌদিকে বেষ্টন । সভামধ্যে সিংহাসনে বসিল রাবণ ॥ রাবণ বলে, বুঝিলাম দেবতার ফন্দী। এতদিনে গড়াইল যা বলিল নন্দী। কুবেরে জিনিয়া আসি কৈলাস-শিখরে । নন্দী দাড়াইয়াছিল শিবের দুয়ারে। শিব-দুর্গা দরশনে বাসনা আমার । বিস্তর কহিনু নন্দী না ছাড়িল দ্বার | বিকৃত বানর-মুখ নন্দী যে দুয়ারী। মুখপানে চাহি, তারে তুি ট্রটকারী। নন্দী কোপ করি মোরে দিল অভিশাপ । সেই শাপে পাই আমি এত মনস্তাপ । নন্দী কহিলেক, আমি শিবের কিঙ্কর । মোরে উপহাস কর দৃষ্ট নিশাচর। বানর-মুখ দেখি তুই কৈলি উপগস । এই মুখে হবে তোর সংশে বিনাশ । লঙ্কাতে চালাও রথ ত্বরিভগমন । ফলিল নন্দীর শাপ এতদিন পরে। রাবণের আজ্ঞা পেয়ে সত্বর সারথি । পরাজয় করিলেক বনের বানরে } লঙ্কার ভিতরে রথ নিল শীঘ্ৰগতি ৷ করেছি বিস্তঃ তপ হইতে অমর । কাটা গেল মুকুট পলায় দশানন । অমর হইতে ব্ৰহ্মা নাহি দিল বর ॥ ধর ধর ডাক ছাড়ে যত কপিগণ ॥ এই বর দিল রক্ষা হইয়া সদয় । কৃত্তিবাস-কবিত্ব শুনিতে বড় রঙ্গ । যক্ষ রক্ষ দেবতা গন্ধৰ্ব্বে নাহি ভয় । লঙ্কাকাণ্ডে গান রাবণের রণ-ভঙ্গ || সবারে জিনিব রণে মাগি লৈলু বর। _ সবে মাত্র বাকী ছিল নর ও বানর। ভেবেছিমু ভক্ষ-মধ্যে এরা দুইজন। । কে জানে,_बनबनव ध्रुवéग्न ५मन ॥ (G)द्वनौक्रूिड ল’য়ে শাহ যেমন ग:कन-दनाक्किडादशद জন্য পদেশ লইয়া খাওয়ার মত ছিন্ন কেশ ও অপমান লইয়া আৰ যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে পলায়ন কর।