পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তোমার রক্ষক আছে রাবণের চেড়ী। আমার সাক্ষাতে তোমা উঠাইত বাড়ি ॥ করিয়াছে তোমার দুর্গতি অপমান। এ সবার প্রাণ লব, মাগি এই দান ॥ দন্ত উপাড়িয়া চুল ছিড়ি গোছে গেছে। আছাড়িয়া প্রাণ লব বড় বড় গাছে ৷ সমুদ্রের তীরে আছে বালি খরশান। তাতে মুখ ঘসাড়িয়া লইব পরান। শুনিয়া হনূর বাক্য যত চেড়ীগণ। ভয়ে সব চেড়ী ধরে সীতার চরণ ॥ চেড়ী সব বলে, শুন, সীতা ঠাকুরাণী । হনুমান প্রাণ লয় রাখ গে। আপনি ৷ জানকী বলেন, তুমি বিচারে পণ্ডিত । যত দুঃখ পাই আমি কপালে লিখিত ॥ মহাবীর হনু তুমি বুদ্ধে বৃহস্পতি। স্ত্ৰীবধ করিয়া কেন রাখিবে অখ্যাতি ॥ যত দিন ছিল চেড়ী রাবণ অধীন। ততদিন মোরে দুঃখ দেছে নিশিদিন । এখন সে সবংশেতে মরেছে রাবণ । চেড়ীগণ করে এবে আমার সেবন।। কহিবে আমার দুঃখ স্ত্রীরামের স্থানে। প্রণাম করিব গিয়া রামের চরণে ॥ চলিলেন হনুমান সীতার বচনে। কহিল সকল কথা শ্রীরামের স্থানে ॥ যে সীতার লাগিয়া করিলা মহামার। সে সীতার হইয়াছে অস্থি চৰ্ম্ম সার। ८फर्छौद्र डाफ़्रन नौठांद्र कठेनिङ eथान । তবু রাম বিনা তার মনে নাহি আন। এত যদি কহিলেক পবন-নন্দন । স্ত্রীরাম বলেন, সীতা আনে কোন জন ॥ (১) পরিবার-স্ত্রী। אtsדה ] সীতারে আনিতে তবে চলে বিভীষণ। কৃত্তিবাস মন-মুখে গাহে রামায়ণ ॥ সীতার রাম-সম্ভাষণে যাত্রা ও সীতাকে गटमाझौद्र श्रठि*ां* शांम । এত ভাবি রঘুনাথ বিচারিয়া মনে । সীতারে আনিতে পাঠাইলা বিভীষণে ॥ চলিলেন বিভীষণ রামের বচনে। মাথা নোঙাইল গিয়া সীতার চরণে ॥ বিভীষণ বলে, মাতা, নিবেদি চরণে । তোমারে যাইতে হৈল রাম-দরশনে ॥ আনিল সুবর্ণ-দোলা রতনে মণ্ডিত । সীতার সম্মুখে আনি কৈল উপস্থিত। বিভীষণ বলে, শুন জনক-নন্দিনী । স্থবৰ্ণদোলাতে আসি উঠহ আপনি ॥ পর রত্ন-আভরণ, যেবা লয় চিতে । রাম-দরশনে মাতা, চলহ ত্বরিতে ॥ মরিল রাবণ, তব দুঃখ হৈল শেষ । রাম-সম্ভাষণে চল করিয়া সুবেশ ৷ স্নান করি পর দেবী বিচিত্র বসনে। সোণার দোলায় চল রাম-সম্ভাষণে ॥ সীতা বলে, কিবা স্নান, কিবা মোর বেশ । অশোকের বনে কাটাইমু দুঃখ-শেষ ৷ বিভীষণ বলে, কথা কছিলে প্রমাণ । কেমনে এ বেশে যাবে আমা-বিদ্যমাস্ ॥ বিভীষণের পরিবার (১) সরমা সুন্দরী । স্মান-দ্রব্য ল'য়ে জবে এলো স্বরা করি ॥ সিংহাসনে বসাইল সীতা চন্দ্রমুখী । কেহ ভৈল দেয় গায়, কেহ আমলকী ॥