পাতা:সচিত্র কৃত্তিবাসী রামায়ণ -নয়নচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৫৯

উত্তরাকাণ্ড । পালিয়া মুনির আজ্ঞা ভ্ৰমিতাম বনে। এই হেতু ইন্দ্রজিৎ পড়ে মোর বাণে। এত যদি বলিলেন ঠাকুর লক্ষণ । লক্ষ্মণেরে কোলে করি রামের রেদিন । লগণ-ভোজন এইরূপে সবাকারে বিদায় করিয়া । অন্তঃপুরে গেলা রাম তিন ভাই লৈয়া। রামের অন্দরে গিয়া চারি ভাই বসি । বনবাস-দুঃখ রাম কন হাসি হাসি ৷ জনক-নন্দিনী বৈসে প্রভু-মুখ হেরি । আসিলা কৌশল্যা শ্রীরামের অন্তঃপুরী । কোথায় আমার বাছা কমল-লোচন । চাদ-মুখ হেরি বাছা, জুড়াক জীবন ৷ এই কথা বলি মাতা বসিলা আসনে । প্ৰণমিলা চারি ভাই মায়ের চরণে II তখন জানকী দেবী বাহির হইয়া । প্রণাম করিলা আসি ক্ষিতি লোটাইয়া । বিচির আসন আনি আঙ্গিনাতে দিল । চারি ভাই সঙ্গে সীতা কৌশল্য বসিল । চাহিয়া রামের পানে কৌশল্যা জননী। কি কথা কহিলে বাপু রাম রঘুমণি ৷ gর্গত সঙ্গীর পথে- 4לר রাম কন, চোঁদ-বর্ষ বনবাস-কথা। ভরত শক্রয়ে কহিতেছিলাম মাতা । কৌশল্যা বলেন, বাছা, এ কথা না শুনি । শুনিলে বনের নাম ফাটয়ে পরাণী । শ্রীরাম বলেন, মাতা, কর অবস্থান । ভক্ষণ-সামগ্ৰী যত কর সাবধান ৷ গা তোল জননী মোর, ত্যজ অন্য কথা । চৌদ্দ বৎসরের আজি অন্ন দেহ মাতা। শুনেছ কি লক্ষ্মণের প্রতিজ্ঞা কাহিনী । অনাহারে চৌদ-বৰ্ণ অাছে গুণমণি ৷ ইন্দ্রজিং অতিকায় রাবণ-কোঙর । করিল কঠোর তপ, ব্ৰহ্মা দিলা বর। যেই বীর চোঁদ-বর্ষ নিদ্রা নাহি যালে। অন্ন-জল ফল মূল কিছুই না খালে । নিদ্রাত্যাগী, নারীমুখ না দেখিলে যে । তোমা দোহাকারে রণে নিপাঙ্গিলে সে । সে সব প্রতিজ্ঞা ভাই লক্ষ্মণ পূরিল। যমের সমান দোহে লক্ষ্মণ মারিল ৷ ফল-মূল খেয়ে আমি পোছাইমু নিশি । চোঁদ বর্ষ লক্ষণ যে আছে উপবাসী । জন্মে জন্মে তার ধার শোধিতে নারিল । পরজন্মে জ্যষ্ঠ করি কনিষ্ঠ হইব । কৌশল্যার চমৎকার শুনি রামের কথা । লক্ষণে করিলা কোলে চুমি তার মাথা । তোমার এমন গুণ লাছা রে লক্ষণ । সাগরে কামনা করি পেয়েছি রতন । চৌদ-বৰ্ষ আছি আমি লোচন-বিহীন । পোহাইল কাল রাত্রি, হৈল শুভদিন । আজি মোর সুপ্রভাত, সফল জীবন। शको कब्रिएदन •ोक चम्न 3 वाश्रम ।