পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চিত্রা
২৪৫

তুমি অচপল দামিনী।
ধীর গম্ভীর গভীর মৌন মহিমা,
স্বচ্ছ অতল স্নিগ্ধ নয়ননীলিমা,
স্থির হাসিখানি উষালোকসম অসীমা,
অয়ি প্রশান্তহাসিনী।
অন্তর-মাঝে তুমি শুধু একা একাকী,
তুমি অন্তরবাসিনী।

 ১৮ অগ্রহায়ণ ১৩০২


আবেদন

ভৃত্য।  জয় হোক মহারানী, রাজরাজেশ্বরী, 
দীন ভৃত্যে করো দয়া।
রানী। সভা ভঙ্গ করি 
সকলেই গেল চলি যথাযোগ্য কাজে
আমার সেবকবৃন্দ বিশ্বরাজ্য-মাঝে,
মোর আজ্ঞা মোর মান লয়ে শীর্ষদেশে
জয়শঙ্খ সগর্বে বাজায়ে। সভাশেষে
তুমি এলে নিশান্তের শশাঙ্ক-সমান
ভক্ত ভৃত্য মোর। কী প্রার্থনা?
ভৃত্য। মোর স্থান 
সর্বশেষে, আমি তব সর্বাধম দাস
মহোত্তমে। একে একে পরিতৃপ্ত-আশ
সবাই আনন্দে যবে ঘরে ফিরে যায়
সেইক্ষণে আমি আসি নির্জন সভায়,
একাকী আসীনা তব চরণতলের
প্রান্তে ব’সে ভিক্ষা মাগি শুধু সকলের
সর্ব-অবশেষটুকু।