পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬৮
চিত্রা

আজি নির্মলবায় শান্ত উষায় নির্জননদীতীরে 
স্নান-অবসানে শুভ্রবসনা চলিয়াছ ধীরে ধীরে।
তুমি বাম করে লয়ে সাজি
কত তুলিছ পুষ্পরাজি,
দূরে দেবালয়তলে ঊষার রাগিণী বাঁশিতে উঠিছে বাজি 
এই নির্মলবায় শান্ত ঊষায় জাহ্নবীতীরে আজি। 
দেবী, তব সিঁথিমূলে লেখা
নব অরুণ সিঁদুররেখা,
তব বাম বাহু বেড়ি শঙ্খবলয় তরুণ ইন্দুলেখা। 
একি মঙ্গলময়ী মুরতি বিকাশি প্রভাতে দিতেছ দেখা! 
রাতে প্রেয়সীর রূপ ধরি
তুমি এসেছ প্রাণেশ্বরী,
প্রাতে কখন দেবীর বেশে
তুমিস মুখে উদিলে হেসে—
আমি সম্ভ্রমভরে রয়েছি দাঁড়ায়ে দূরে অবনতশিরে 
আজি নির্মলবায় শান্ত ঊষায় নির্জন নদীতীরে। 

 ১ ফাল্গুন ১৩০২


১৪০০ সাল

আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
কৌতূহলভরে,
আজি হতে শতবর্ষ পরে!
আজি নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের
লেশমাত্র ভাগ,
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
আজিকার কোনো রক্তরাগ—