পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কল্পনা
৩১৯

প্রভাতে যে পাখি সবে গেয়েছিল কলরবে
থামুক এখন।
প্রভাতে যে ফুলগুলি জেগেছিল মুখ তুলি
মুছুক নয়ন।
প্রভাতে যে বায়ুদল ফিরেছিল সচঞ্চল
যাক থেমে যাক।
নীরবে উদয় হোক অসীম নক্ষত্রলোক
পরমনির্বাক্।

হে মহাসুন্দর শেষ, হে বিদায় অনিমেষ,
হে সৌম্য বিষাদ,
ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির, মুছায়ে নয়ননীর
করো আশীর্বাদ।
ক্ষণেক দাঁড়াও স্থির, পদতলে নমি শির
তব যাত্রাপথে—
নিষ্কম্প প্রদীপ ধরি নিঃশব্দে আরতি করি
নিস্তব্ধ জগতে।

 ৩০ চৈত্র ১৩০৫


বর্ষশেষ

১৩০৫ সালে ৩০শে চৈত্র ঝড়ের দিনে রচিত

ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে
বাধাবন্ধহারা
গ্রামান্তের বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া।—
হানি দীর্ঘধারা।
বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন,
চৈত্র অবসান—