পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮৬
কাহিনী

ভাগ করে লইয়াছে সর্ব কুলাঙ্গনা—
কাপুরুষতার হস্তে সতীর লাঞ্ছনা।
যাও বৎসে, পতি-সাথে অমলিনমুখ,
অরণ্যেরে করো স্বর্গ, দুঃখে করো সুখ
বধূ মোর, সুদুঃসহ পতিদুঃখব্যথা
বক্ষে ধরি সতীত্বের লভ সার্থকতা।
রাজগৃহে আয়োজন দিবসযামিনী
সহস্র সুখের; বনে তুমি একাকিনী
সর্বসুখ, সর্বসঙ্গ, সর্বৈশ্বর্যময়,
সকল সান্ত্বনা একা, সকল আশ্রয়,
ক্লান্তির আরাম, শান্তি, ব্যাধির শুশ্রূষা,
দুর্দিনের শুভলক্ষ্মী, তামসীর ভূষা
ঊষা মূর্তিমতী। তুমি হবে একাকিনী
সর্বপ্রীতি, সর্বসেবা, জননী, গেহিনী—
সতীত্বের শ্বেতপদ্ম সম্পূর্ণ সৌরভে
শতদলে প্রস্ফুটিয়া জাগিবে গৌরবে।


নরকবাস

নেপথ্যে। কোথা যাও মহারাজ? 
সোমক। কে ডাকে আমারে 
দেবদূত? মেঘলোকে ঘন অন্ধকারে
দেখিতে না পাই কিছু— হেথা ক্ষণকাল
রাখো তব স্বর্গরথ।
নেপথ্যে। ওগো নরপাল, 
নেমে এসো, নেমে এসো, হে স্বর্গপথিক।
সোমক। কে তুমি, কোথায় আছ?