পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২২
গীতালি

তোমার মাঝে এমনি করে নবীন করি লও-যে মোরে,
এই জনমে ঘটালে মোর জন্ম-জনমান্তর,
সুন্দর হে সুন্দর।

রামগড়। হিমালয়
৩১ বৈশাখ [১৩২১]


আলোকধেনু

এই তো তোমার আলোক-ধেনু সূর্যতারা দলে দলে—
কোথায় বসে বাজাও বেণু, চরাও মহাগগন-তলে!
তৃণের সারি তুলছে মাথা, তরুর শাখে শ্যামল পাতা;
আলোয়-চরা ধেনু এরা ভিড় করেছে ফুলে ফলে।
সকালবেলা দূরে দূরে উড়িয়ে ধূলি কোথায় ছোটে!
আঁধার হলে সাঁঝের সুরে ফিরিয়ে আন আপন গোঠে।
আশ। তৃষা আমার যত ঘুরে বেড়ায় কোথায় কত—
মোর জীবনের রাখাল ওগো, ডাক দেবে কি সন্ধ্যা হলে?

রামগড়। হিমালয়
১০ জ্যৈষ্ঠ [১৩২১]


পরশমণি

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে,
এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে।
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো—
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে।
আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে।

আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত  ফোটাক তারা নব নব।