পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৩২
গীতবিতান

কে সে আমার কেই বা জানে— কিছু বা তার দেখি আভা,
কিছু বা পাই অনুমানে, কিছু তাহার বুঝি না বা।
মাঝে মাঝে তার বারতা আমার ভাষায় পায় কী কথা রে,
ওসে আমায় জানি পাঠায় বাণী আমার গানে লুকিয়ে তারে।

 ? ১৩২৯


ওই মরণের সাগরপারে চুপে চুপে
এলে তুমি ভুবনমোহন স্বপনরূপে।
কান্না আমার সারা প্রহর তোমায় ডেকে
ঘুরেছিল চারি দিকের বাধায় ঠেকে,
বন্ধ ছিলেম এই জীবনের অন্ধকূপে।
আজ এসেছ ভুবনমোহন স্বপনরূপে।

আজ কী দেখি, কালো চুলের আঁধার ঢালা,
স্তরে স্তরে সন্ধ্যাতারার মানিক জ্বালা।
আকাশ আজি গানের ব্যথায় ভরে আছে,
ঝিল্লিরবে কাঁপে তোমার পায়ের কাছে,
বন্দনা তোর পুষ্পবনের গন্ধধূপে।
আজ এসেছ ভুবনমোহন স্বপনরূপে।

 [১৩৩০-৩১]


দিন যদি হল অবসান
নিখিলের অন্তর-মন্দির প্রাঙ্গণে
ওই তব এল আহ্বান।
চেয়ে দেখো মঙ্গলরাতি জ্বালি দিল উৎসববাতি,
স্তব্ধ এ সংসারপ্রান্তে
ধরো তব বন্দনগান।