পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবজাতক
৭৯৭

ছেঁড়া পটের টুকরো জমে পথের প্রান্ত জুড়ে,
তপ্ত দিনের ক্লান্ত হাওয়ায় কোন্‌খানে যায় উড়ে।
‘গেল গেল’ ব’লে যারা ফুকরে কেঁদে ওঠে
ক্ষণেক-পরে কান্না-সমেত তারাই পিছে ছোটে।—
ঢং ঢং বেজে ওঠে ঘণ্টা,
এসে পড়ে বিদায়ের ক্ষণটা।
মুখ রাখে জানলায় বাড়িয়ে,
নিমিষেই নিয়ে যায় ছাড়িয়ে।

চিত্রকরের বিশ্বভুবনখানি,
এই কথাটাই নিলেম মনে মানি।
কর্মকারের নয় এ গড়া-পেটা—
আঁকড়ে ধরার জিনিস এ নয়, দেখার জিনিস এটা।
কালের পরে যায় চলে কাল, হয় না কভু হারা
ছবির বাহন চলাফেরার ধারা।
দুবেলা সেই এ সংসারের চলতি ছবি দেখা,
এই নিয়ে রই যাওয়া-আসার ইস্‌টেশনে একা।—
এক তূলি ছবিখানা এঁকে দেয়,
আর তূলি কালী তাহে মেখে দেয়।
আসে কারা এক দিক হতে ওই,
ভাসে কারা বিপরীত স্রোতে ওই।

শান্তিনিকেতন
৭ জুলাই ১৯৩৮


প্রজাপতি

সকালে উঠেই দেখি,
প্রজাপতি একি
আমার লেখার ঘরে
শেল্‌ফের ’পরে