ভাগ্যলিখন ঝাপসা কালীর, নয় সে পরিষ্কার—
দুঃখসুখের ভাঙা বেড়ায় সমান যে দুই ধার।
কামারহাটার কাঁকুড়গাছির ইতিহাসের টুকরো
ভেসে চলে ভাঁটার জ্বলে উইয়ে-ঘুনে-ফুক্রো।
অঘটন তো নিত্য ঘটে রাস্তাঘাটে চলতে—
লোকে বলে ‘সত্যি নাকি’— ঘুমোয় বলতে বলতে।
সিন্ধুপারে চলছে হোথায় উলট-পালট কাণ্ড,
হাড় গুঁড়িয়ে বানিয়ে দিলে নতুন ব্রহ্মাণ্ড!
সত্য সেথায় দারুণ সত্য, মিথ্যে ভীষণ মিথ্যে;
ভালোয় মন্দে সুরাসুরের ধাক্কা লাগায় চিত্তে।
পা ফেলতে না ফেলতে হতেছে ক্রোশ পার—
দেখতে দেখতে কখন যে হয় এস্পার ওস্পার।
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০
মামলা
বাসাখানি গায়ে লাগা আর্মানি গির্জার
দুই ভাই সাহেবালি জোনাবালি মির্জার।
কাবুলি বেড়াল নিয়ে দু দলের মোক্তার
বেঁধেছে কোমর, কে যে সামলাবে রোখ তার!
হানাহানি চলছেই একেবারে বেহোঁশে,
নালিশটা কী নিয়ে যে জানে না তা কেহ সে।
সে কি লেজ নিয়ে, সে কি গোঁফ নিয়ে তক্রার—
হিসেবে কি গোল আছে নখগুলো বখরার।
কিংবা মিয়াও ব’লে থাবা তুলে ডেকেছিল,
তখন সামনে তার দু ভাইয়ের কে কে ছিল।
সাক্ষীর ভিড় হল দলে দলে তা নিয়ে,
আওয়াজ যাচাই হল ওস্তাদ আনিয়ে।