পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৩২
শেষ লেখা

যখন ফুটিয়া ওঠে যুথী বনময়,
আমার আঁচলে আনি তার পরিচয়।
যেথা যত ফুল আছে বনে বনে ফোটে,
আমার পরশ পেলে খুশি হয়ে ওঠে।
শুকতারা ওঠে ভোরে, তুমি থাক একা,
আমিই দেখাই তারে ঠিকমত দেখা।
যখনি আমার শোনে নূপুরের ধ্বনি
ঘাসে ঘাসে শিহরন জাগে যে তখনি।
তোমার বাগানে সাজে ফুলের কেয়ারি,
কানাকানি করে তারা ‘এসেছে পিয়ারি’।
অরুণের আভা লাগে সকালের মেঘে,
‘এসেছে পিয়ারি’ ব’লে বন ওঠে জেগে।
পূর্ণিমারাতে আসে ফাগুনের দোল,
‘পিয়ারি পিয়ারি’ রবে ওঠে উতরোল।
আমের মুকুলে হাওয়া মেতে ওঠে গ্রামে,
চারি দিকে বাঁশি বাজে পিয়ারির নামে।
শরতে ভরিয়া উঠে যমুনার বারি,
কূলে কূলে গেয়ে চলে ‘পিয়ারি পিয়ারি’।’

শান্তিনিকেতন
৩ মার্চ ১৯৪১


রূপ-নারানের কূলে

রূপ-নারানের কূলে
জেগে উঠিলাম
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম
আপনার রূপ—