পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৫৯
সঞ্চয়িতা
৮৫৯
              গ্রন্থপরিচয়                 ৮৫৯

হইতে একান্তরে লইয়া যাইতেছে-- এক কাড়িয়া আর-এক দিতেছে। আমাদের শৈশবের 'এক' যৌবনের 'এক' নহে, যৌবনের এক" বার্ধক্যের 'এক' নহে, ইহজন্মের 'এক' প্রজন্মের 'এক' নহে এইরূপ শতসহস্র একের মধ্য দিয়া প্রকৃতি আমাদিগকে সেই এক মহৎ এক-এর দিকে লইয়া যাইতেছে। সেই দিকেই আমাদিগকে অগ্রসর হইতে হইবে, পথের মধ্যে বন্ধ হইয়া থাকিতে আসি নাই... আমি বৈরাগ্য শিখাইতেছি। অনুরাগ বন্ধ করিয়া না রাখিলে তাহাকেই বৈরাগ্য বলে, অর্থাত বৃহৎ অনুরাগকেই বৈরাগ্য বলে। প্রকৃতির বৈরাগ্য দেখো । সে সকলকেই ভালোবাসে বলিয়া কাহারও জন্য শোক করে না তাহার দুই-চারিটা চন্দ্র সূর্য গুঁড়া হইয়া গেলেও তাহার মুখ অন্ধকার হয় না". অথচ একটি সামান্য তৃণের অগ্রভাগেও তাহার অসীম হৃদয়ের সমস্ত যত্ন সমস্ত আদর স্থিতি করিতেছে, তাহার অনস্ত শক্তি কাজ করিতেছে। “প্রেম জাহৰীর সথা় প্রবাহিত হইবার জন্য হইয়াছে। তাহার প্রবহ্মাণ ম্রোতের উপরে পীল-মোহরের ছাপ মারিয়া “আমার বলিয়া কেহ ধরিয়া রাখিতে পারে না। সে জন হইতে জগমস্তরে প্রবাহিত হইবে... বিস্বতির মধ্য দিয়া বৈচিত্র্য ও বৈচিত্রের মধ্য দিয়া অসীম একের দিকে ক্রমাগৃত ধাবমান হইতে হইবে, অন্য পথ দেখি না।+ সোলাপুর। ২৬ আশ্বিন [১২৯২]

১. বিচিত্র প্রবন্ধ শরসথে রূহ ও পংপ্রান্তে প্রবন্যুগল জর্টব্য। প্রথম প্রবন্ধটি উপলক্ষ করিয়া করিব অক্ষয় চৌধুরী] ও কবির মধ্যে যে উজ প্রততর' চলে তাহারই কিং এ স্থলে উৎকজিত-_ পঞ্দধওড ববীন-রচনাবলীর পরিচয়ে সবটা পাওয়া ঘাইবে। বর্তমান গ্রন্থে অধিক উদ্ধৃতির গান নাই তবু 'পৎপরান্তে"গরবন্ের বক্তবাও যে অভিন্ন ('র্বগৃহ'“শাজাহান রচনা হইতে “অভিন্ন” ) তাহারও নিদর্শন দেওয়া ভালো_

আরকিচুই থাকে না, কিন্তু প্রেম তাহাদের সঙ্গে নঙ্গে থাকে।-” প্রেম বদি কেহ বাখিযা ঝাধিতে পাঁরিত তবে পথিকদের বাতা বন্ধ হইত। প্রেমের যদি কোথাও নমাধি হইত, তবে পথিক সেই সমাধির উপরে জড় পাযাণের মতো. পড়িয়া থাকিত| নৌকার €ণ যেমন নৌকাকে বাঁধিয়া ইরা যায়, বার্থ প্রেম তেমমি কাহাকেও বীধিযা! রাখিয়া দেয়না, কিন্ত কবির সই হয়)"