পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৬২
সঞ্চয়িতা
৮৬২

৮৬২ সঞ্চয়িতা

     লতাটির নাম দিয়েছি নীলমণিলতা। উপযুক্ত 
     অনুষ্ঠানের দ্বারা সেই নামকরণটি পাকা করবার 
     জন্যে এই কবিতা। নীলমণি ফুল যেখানে চোখের 
     সামনে ফোটে সেখানে নামের দরকার হয়নি--কিস্ত 
     একদা অবসানপ্রায় বসন্তের দিনে দূরে ছিলুম, 
     সেদিন রূপের স্থতি নামের দাবি করলে। ভক্ত ১০৮ 
     নামে দেবতাকে ডাকে সে শুধু বিরহের আকাশকে 
     পরিপূর্ণ করবার জন্যে ।

৬২০-২২ সাগরিকা। পাণ্ডুলিপিতে পঞ্চম স্তবকের পরেই আছে-

    পরের দিনে তরুণ উষা বেনুবনের আগে
          জাগিল যবে নব অরণরাগে
   নীরবে আসি দাঁড়ানু তব আঙন-বাহিরেতে,
         শুনিনু কান পেতে-
    গভীর স্বরে জপিছ কোনখানে
    উদ্বোধন মন্ত্র যাহা নিয়েছ তব কানে,
      একদা দোঁহে পড়েছি যেই মোহমোচন বাণী
         মহাযোগীর চরণ স্মরি যুগল করি পাণি॥

কবিতাটি প্রবাসীর ১৩৩৪ পৌষ সংখ্যায় “বালি” শিরোনামে প্রকাশিত, সেখানেও অতিরিক্ত স্তবকটি পাওয়া যায়। কবির বালি যবদ্বীপ প্রভৃতি বৃহত্তর ভারতভূমি -ভ্রমণের কালে ইহা রচিত।

৬৩৯।৬৪২ পত্রলেখা । বাঁশি ॥ পুনশ্চ কাব্যের দ্বিতীয়

       সংস্করণে উহার অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। এখানে 
       রচনাকাল ও রচনাকলার পারস্পর্য-বশত; পূর্ব
       পরিশেষ কাব্যেই রাখা গেল। ইহাদের ছন্দ সম্পর্কে 
       পুনশ্চ কাব্যের ভূমিকা হইতে উদ্ধার করা যাইতে 
       পারে-
         মিল নেই, পদ্যছন্দ আছে, কিন্তু পণ্যের বিশেষ ভাষারীতি ত্যাগ করবার চেষ্টা করেছি। যেমন, তরে সনে মোর প্রভৃতি যে- সকল শব্দ গদ্যছ ব্যবহার হয় না সেগুলিকে এই-নকল কবিতায় স্থান দিই নি। ২ আশ্বিন ১৩৩৯

৬৪৫ জলপাত্র। ইহার সহিত চণ্ডালিকা ( ১৩৪০)

     নাট্যকাহিনীর প্রারম্ভ তুলনীয়।

ভুলনীয়।