পাতা:সঞ্চয়িতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৮৬৬
সঞ্চয়িতা
৮৬৬

৮৬৬ সঞ্চয়িতা

        দুকখৎত্রায়ক। এইভাবে হ্রস্বধ্বনিকে এক মাত্রা ও           দীর্ঘধ্বনীকে দুই মাত্রা ধরে হিসাব করলে           অধিকাংশ পংক্তিতে ২৮ মাত্রা পাওয়া যাবে;           আর, প্রত্যেক স্তবকে একটি করে অপেক্ষাকৃত                    দীর্ঘ পংক্তি আছে, তার মাত্রাসংখ্যা ৩৬ ।           কেবল প্রথম স্তবকের "পঞ্জাব" শব্দের পঞ,           ধ্বনিটা পংক্তিবহির্ভূত অতিপর্ব বলে স্থীকার্য ।।           অর্থাং মাত্রাগণনার সময় এই ধ্বনিটাকে হিসাব           থেকে বাদ দিতে হবে। ছোটো পংক্তিগুলিতে           ষোলো মাত্রার পরে এবং বড়ো পংক্তিগুলিতে           বারো ও চব্বিশ মাত্রার পরে একটি করে           অপেক্ষাকৃত প্রবল যতি আছে ; প্রতোক           পংক্তির শেষে পূর্ণযতি। ৭৩৮।৩৯।৪৪ একুশ, বাইশ ও তেত্রিশ -সংখ্যক গানের এক-           একটি পাঠান্তর যথাক্রমে পাঙুলিপি, প্রবাসী-           পত্রিকা ও বনবাণী হইতে উদ্ধৃত হইল । দ্বিতীয়           গানটি পাণ্ডুলিপিতেও পাওয়া গিয়াছে এবং অধুনা           তৃতীয়খণ্ড গীতবিতানে সংকলিত হইয়াছে; ইহাতে           সুর দেওয়া হইয়াছিল।
                   ১       আশ্বিনছ বেণু বাজিল ও পারে বনের ছায়ে--                 তাহারি স্বপন লাগিল গায়ে;            সে সুর সাগর হয়ে এল পার,            যেন আনে বাণী দূর বারতার      চিরপরিচিত কোন্ সে জনার-বিদেশী বায়ে                      বনের ছায়ে                তাহারি স্বপন লাগিল গায়ে ॥
    এ পারে রয়েছি ঘন জনতায় মগন কাজে--      শরৎশিশিরে ভিজে ভৈরবী কেন গো বাজে!         রচি তোলে ছবি আলোতে ও গীতে--১. এই ছন্দপরিচয়টি শ্রীপ্রবোধচন্দ্র সেন মহাশয়ের সৌজন্যে।