পাতা:সতী-দীনেশচন্দ্র সেন.djvu/৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ভূমিকা

 প্রাচীনকালে স্বামীর প্রেম ও রমণীর পাতিব্রত্যের যে আদর্শ বঙ্গীয়সমাজের সম্মুখে ছিল, এই গল্পে যদি তাহার আভাস দিতে সমর্থ হইয়া থাকি, তবেই শ্রম সার্থক জ্ঞান করিব। আমাদের সর্ব্ববিষয়ে প্রাচীন আদর্শ কি ছিল, তৎসঙ্গে শিক্ষিতসম্প্রদায়ের পরিচয় স্থাপন করা উচিত—তাহা হইলেই আমরা বর্ত্তমানের উপযোগী সমাজ গঠনের সদৃঢ় ভিত্তিভূমি পাইব, নতুবা পাদ্রীর বক্তৃতা শুনিয়া কাফ্রি বা সাঁওতালের ন্যায় একবারে নিজস্ব হারাইয়া—নব্য-সভ্যতার গ্রাসে পতিত হওয়া শ্লাঘার বিষয় নহে। সেই পরিচয়স্থাপনের চেষ্টা কি সাহিত্য, কি সমাজ, কি শিল্প, সকল দিক দিয়াই প্রত্যেক স্বদেশভক্তের প্রযত্নের বিষয় হওয়া উচিত। সাহিত্যক্ষেত্রে এই লক্ষ্যই আমার সামান্য লেখনীকে প্রেরণা দান করিয়াছে।

শ্রীদীনেশচন্দ্র সেন