পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের সার্থকতা । প্ৰবীণ সাহিত্যিক শ্ৰীযুক্ত অক্ষয় চন্দ্র সরকার মহাশয় সাহিত্যের আসরে মুখ খুললেই ম্যালেরিয়ার কথা তোলেন,-আমনি নবীন সাহিত্যিকদের দলে হাসির গররা পড়ে যায়। এ হাসির কারণ কি,- তা একটু তলিয়ে দেখা দরকার। ম্যালেরিয়া যে এদেশে আছে, এবং ও পাপ দূর না হলে দেশের যে মঙ্গল নেই-এ কথা এক পাগল ছাড়া আর কেউ অস্বীকার করতে পারেন না । আর নবীন সাহিত্যিকদের সকলেরই যে মাথা খারাপ, এ কথা বললে একটু বেশী বলা হয়। সুতরাং ধরে নেওয়া অন্যায় হবে না যে, নবীনদের ও মস্তিষ্ক এবং হৃদয় ঠিক ঠিক জায়গায় আছে, আর সে হৃদয়ের মাপ ও সে মস্তিষ্কের ওজন ও গড়পড়তায় যেমন হয়ে থাকে, তেমনি । এ সত্ত্বেও তঁরা ম্যালেরিয়া দমনের প্রস্তাব শুনলে হাসেন কেন ?-হাসেন এই কারণে যে, • প্ৰস্তাবটা করা হয় সাহিত্যের আসরে । ম্যালেরিয়াকে অবশ্য হেসে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কিন্তু ও-বস্তুকে কেঁদেও ভাসিয়ে দেওয়া যায় না ! তাই সরকার মহাশয় যখন এই নিয়ে করুণরসের অবতারণা করেন, তখন সভাস্থলে হাস্যরসের আবির্ভাব হয় । কেননা সকলেই জানেন-অন্ততঃ সকলের জানা উচিত যে, ম্যালেরিয়া কাব্যের বিষয় নয়; যদিচ ও-বস্তুর সংস্পর্শে স্বেদ, কম্প, মুছা, রোমাঞ্চ • শীৎকার প্রভূতি সাত্ত্বিকভাবের প্রধান লক্ষণগুলি সব মানুষের শরীরে দেখা দেয়! বাংলা দেশের ঘাড় থেকে ও ভূত নামানোও