পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা भू५ à 82) অনেক কারণে, যা আমরা জানি না, তঁর মনের ভিতরকার সমস্ত আয়োজন ও বন্দোবস্তও কে যেন গুলিয়ে দিচ্ছিল। তিনি বাইরে ছুটে গিয়ে একবার ঘড়ির দিকে ভ্ৰকুটীর সঙ্গে চেয়ে বল্লেন “তাই ত”। তারপর গাঙ্গুলির কঁধে হাত দিয়ে তাকে একটু দূরে টেনে নিয়ে গেলেন। গাঙ্গুলির কানে কানে কি যেন ফিসফিস্ করে বলবার পর গাঙ্গুলি একটু বিরক্তির স্বরে বলে উঠলো, “অত অধৈৰ্য হলে চলবে কেন ।” গাঙ্গুলির কথা শুনে মুখুজে একটা ডাবা হুকো টানতে টানতে তঁাদের কাছে এসে দাড়ালেন এবং ব্ৰজেন বাবুকে সহসা গম্ভীর হয়ে যেতে দেখে বল্লেন “তুমি কিছু ভেবন ব্ৰজেন, আমরা যখন রাইছি তখন কারুর সাধ্যি নেই যে তোমার কোন রকম অসুবিধে করে ऊांशे दिक्, नि •द्भरे दिक् ।।” আসল কথা, মুখুজ্জে এবং গাঙ্গুলির যে উৎসাহ সে কেবল কৰ্ম্মের উৎসাহ, তার ফল সম্বন্ধে তাদের মত গীতার সঙ্গে যতটা মেলে ব্ৰজেনের সঙ্গে ততটা নয় । ঘটক পীতাম্বর তখন তর্কবাগীশের সঙ্গে স্মৃতিতীর্থের রাক্ষস ও গান্ধৰ্ব বিবাহ নিয়ে যে তর্ক হচ্ছিল-তাই হঁ।া করে” গিলে ফেলবার চেষ্টা করছিলেন, এমন সময় তঁর কানে খটু করে বাজিলো মুখুজের শেষ কথা। পাছে এই শেষ মুহুৰ্ত্তেও সব কেঁচে যায় এই আশঙ্কায় তিনি তাড়াতাড়ি খড়ম পায়ে দিয়ে এবং কাছাটাকে ধূলোয় লুটোতে লুটোতে একেবারে ব্ৰজেন বাবুর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেন এবং ঢোক গিলতে গিলতে ভাঙ্গা গলায় বল্পেন-“কেন, কিছু গোলযোগ হচ্ছে নাকি ?”