পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

0 जबूद्ध *ख વિનાશ, હરી শ্ৰীবৃদ্ধিরও হানি করতে পারে নি; যদিচ সাহিত্যিকদের উপর অত্যাচার করতে, অন্ততঃ তাদের লাঞ্ছনীগঞ্জন দিতে জনসাধারণ কখনও কম্বর করে নি। যদি কোথায়ও দেখা যে, কোনও সাহিত্যিকের স্বসমাজে আদর হয়েছে-তখনই বুঝবে যে, সে ভদ্রলোক সাহিত্যের নামে বেনামি করে শুধু সাংসারিক কাজের কথা কয়েছেন। ( R ) আমি যে কাজের লোকের কথা বলছি, সে হচ্ছে কাজের কথার লোক। যারা যথার্থ কাজের লোক,--অর্থাৎ যারা লাঙ্গল চাষে, ধান ভানে, চরকা কাটে, কাপড় বোনে, যারা হাত গুটিয়ে বসলে আমাদের দু’দিনেই বাকুরোধ হয়ে যায়,--তারা অবশ্য সাহিত্যের উপর কোনই অত্যাচার করে না ; বরং সাহিত্যই তাদের উপর চিরদিনই অত্যাচার করে আসছে। যারা পড়তে জানে না, লেখার উপর তাদের ভক্তি যেমন অযথা তেমনি অচল । বারোমাস তারাই সরস্বতীর পুজা করে, যারা একদিনও দোয়াতকলম ছোয় না। যে কথা বইয়ে আছে, তাদের বিশ্বাস সে কথা মন্ত্র ; এবং সে মন্ত্র যত বেশী দুর্বোধি তত বেশী তার মাহাত্ম্য। লোকশিক্ষার আসল দরকারটাই এই জন্যে যে, লেখাপড়া না শিখলে লোকের লেখাপড়ার ভয় ভাঙ্গে না । যে স্বল্পসংখ্যক লোক লেখাপড়ার সাহায্যে অসংখ্য নিরক্ষর লোকের মাথায় হাত বুলিয়ে জীবনযাত্ৰ নিৰ্বাহ করেন, এবং সেই দলিলে নিজেদের কাজের লোক মনে করেন,-সাহিত্য রচনা করা তঁাদের মতেই অকাজ। যারা নথি পড়ে কিম্বা পুথি পড়ায়, মন্ত্র