পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yèt Ve সবুজ পত্ৰ अक्षिांp, se९8 ভাগীরথীর মত এই দেবভাষার ধারাটাও কি অমরা হইতেই নামিয়া আসিয়াছে ? শাস্ত্রজ্ঞেরা বোধ হয়। এরূপই একটা সিদ্ধান্ত করেন। কিন্তু বৈজ্ঞানিক যে আবার অন্য রকম ব্যাখ্যা বাড়িবেন । তিনি বলিবেন স্বৰ্গ হইতে তোমার দেবভাষার অবতরণটা আকাশ থেকে ঝুপ করিয়া তোমার ভাগীরথী পড়ার মতই সত্য ! আমরা সংস্কৃতিকে কেন দেবভাষা বলি ইহাই প্ৰতিপন্ন করিতে কোমর বাধিয়া বসি নাই। এই দৈব উৎপত্তি সম্বন্ধে যতটুকু বলা হইল তাহাই যথেষ্ট। নিজ জন্মভূমির উপর সংস্কৃতের প্রভাব সম্বন্ধে একটু আলোচনা করাই এই প্রসঙ্গের প্রধান উদ্দেশ্য। লাটিন, গ্ৰীক, মৈসরিক, চৈনিক প্রভৃতি সকল পুৱা সাহিত্যেরই নিজ নিজ দেশের উপর বর্তমানেও কিছু না কিছু প্রভাব আছে। কিন্তু এ সম্বন্ধে সংস্কৃতের যতটা, বোধ হয় এই ধরাধামে ততটা কাহারই নাই। ( ७ ) সম্পূর্ণ ভাষাটার কথা দূরে থাকুক, ইহার একটা বিন্দুর মধ্যে যে প্ৰতাপ নিহিত আছে, তাহার কাছে বুবি প্ৰলয়ঙ্করী তড়িতশক্তি ও হার মানে। বাস্তবিক বিসর্গের বিন্দুদুটীির মধ্যে যে সপ্তসিন্ধুর বল লুক্কায়িত । বিচার বল, তর্ক বল, জ্ঞান বল, বিজ্ঞান বল, কত সময়ে সবই যে ঐ ক্ষুদ্র বিন্দুনিঃস্থত শক্তির প্রবাহে কোথায় একেবারে ভাসিয়া যায়। কত ঐরাবতি পাণ্ডিত্য, কত অভ্ৰভেদী মহত্ত্ব, কত পগম্বরের সদুক্তি, কত চাৰ্বাকের বদউক্তি এই ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্রের চরণমূলে লুটাপুটি খাইয়াছে! ভাষাতত্ত্ববিদ বলুন। এমন যাদুশক্তি কি তিনি আর কোন ভাষায় দেখিয়াছেন ? তাহার লাটিন, গ্ৰীক,