পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ efiş, be88 আমার চক্ষুর জিভে জল এসেচে। এই বল্লেই যথেষ্ট হবে ছেলেবেল থেকেই এত অসম্ভব রকম বেশী পড়েচি যে, পাস করতে পারি নি। যতখানি কম পড়া পাস করার পক্ষে অত্যাবশ্যক তার সময় আমার व्नि की । আমি ফেল-করা ছেলে বলে আমার একটা মস্ত সুবিধে এই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাড়ায়, বিদ্যার তোলা জলে, আমার সুমান নয়স্রোতের জলে অবগাহনই আমার অভ্যাস । আজকাল আমার কাছে অনেক বিএ, এমৃএ, এসে থাকে ; তারা যতই আধুনিক হোক আজও তারা ভিক্টোরীয় যুগের নজরবন্দী হয়ে বসে আছে। তাদের বিদ্যার জগৎ টলেমির পৃথিবীর মত, আঠারো উনিশ শতাব্দীর সঙ্গে একেবারে যেন ইস্ত্ৰ, দিয়ে আঁটা, বাংলাদেশের ছাত্রের দল পুত্ৰপৌত্ৰাদিক্ৰমে তাকেই যেন চিরকাল প্ৰদক্ষিণ করতে থাকবে। তাদের মানস-রথযাত্রার গাড়িখানা বহুকষ্টে মিল বেস্থাম পেরিয়ে কার্লাইল রাস্কিনে এসে কাৎ হয়ে পড়েচে । মাষ্টার মশায়ের বুলির বেড়ার বাইরে তার সাহস করে হাওয়া খেতে বেরীয় না । কিন্তু আমরা যে-দেশের সাহিত্যকে খোটার মত করে মনটাকে বেঁধে রেখে জাওর কাটাচ্চি সেদেশে সাহিত্যটা ত স্থানু নয়- সেটা সেখানকার প্রাণের সঙ্গে সঙ্গে চলছে । সেই প্ৰাণটা আমার না। থাকুতে পারে। কিন্তু সেই চলাটা আমি অনুসরণ করতে চেষ্টা করেচি। আমি নিজের চেষ্টায় ফরাসী জৰ্ম্মাণ ইটালিয়ান শিখে নিলুম ; অল্পদিন হল রাশিয়ান শিখতে সুরু করেছিলুম। আধুনিকতার যে একসূপ্ৰেসূ গাড়িটা ঘণ্টায় ষাট মাইলের চেয়ে বেগে ছুটে চলেচে, আমি তারই টিকিট কিনেচি। তাই আমি হাকুসূলি ডারুয়িনে এসেও ঠেকে যাই