পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা 커 እ ፃ ዓ কথায় জিজ্ঞাসা করলুম, “সরোজের পড়াশুনোর কি করচ ?” আনিলা বল্লে, “মাষ্টার রেখেচি, ইস্কুলেও যাচ্চে।” আমি আভাস দিলুম, সরোজকে শেখাবার ভার আমি নিজেই নিতে রাজি আছি। আজ-- কাল বিদ্যাশিক্ষার যে সকল নতুন প্ৰণালী বেরিয়েচে তার কতক কতক ওকে বোঝাবার চেষ্টা করলুম ; অনিল হাও বল্পে না, নাও বলে না । এতদিন পরে আমার প্রথম সন্দেহ হল অনিল আমাকে শ্রদ্ধা করে না । আমি কলেজে পাস করিনি। সেইজন্য সম্ভবত ও মনে করে পড়াশুনো সম্বন্ধে পরামর্শ দেবার ক্ষমতা এবং অধিকার আমার নেই। এতদিন ওকে সৌজাত্য, অভিব্যক্তিবাদ এবং রেডিয়ো-চাঞ্চল্য সম্বন্ধে যা কিছু বলেচি নিশ্চয়ই আনিলা তার মূল্য কিছুই বোঝে নি। ও হয়ত মনে করেচে। সেকেণ্ড ক্লাসের ছেলে ও এর চেয়ে বেশী জানে । কেননা মাষ্টারের হাতের কান-মালার প্যাচে প্যাচে বিদ্যেগুলো আঁাট হয়ে তাদের মনের মধ্যে বসে গেচে । রাগ করে মনে মনে বল্লুম, মেয়েদের কাছে নিজের যোগ্যতা প্ৰমাণ করবার আশা সে যেন ছাড়ে বিদ্যাবুদ্ধিই যার প্রধান সম্পদ । সংসারে অধিকাংশ বড় বড় জীবন-নাট্য যবনিকার আড়ালেই জমিতে থাকে, পঞ্চমাঙ্কের শেষে সেই যবনিকা হঠাৎ উঠে যায়। আমি যখন আমার দ্বৈতদের নিয়ে বের্গসর তত্ত্বজ্ঞান ও ইবসেনের মনস্তত্ত্ব আলোচনা করচি, তখন মনে করেছিলুম আনিলার জীবন-যজ্ঞবেদীতে কোনো আগুনই বুঝি জ্বলে নি । কিন্তু আজকে যখন সেই অতীতের দিকে পিছন ফিরে দেখি তখন স্পষ্ট দেখতে পাই যে-সৃষ্টিকৰ্ত্ত আগুনে পুড়িয়ে হাতুড়ি পিটিয়ে জীবনের প্রতিমা তৈরি করে থাকেন एन्निद्र মৰ্ম্মস্থলে তিনি খুবই সজাগ ছিলেন । সেখানে একটি ছোটভাই, & 8