পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা eft TV Rovo মতেই এমন একটি নিত্য ও স্থির পদার্থের কল্পনা করা হয় যার আসলে কোনও স্থিরতা নেই। অবশ্য এ দুই ছাড়া একটা তৃতীয় ও মধ্য পন্থাও আছে, সে হচ্ছে প্ৰাণের স্বতন্ত্র সত্ত্বা গ্ৰাহ করা। এই মাধ্যমিক মতের নাম Vitalism এবং আমি নিজে এই মধ্যমতাবলম্বী । আমার বিশ্বাস অ-প্ৰাণ হতে প্ৰাণের উৎপত্তি প্ৰমাণ করবার সকল চেষ্টা বিফল হয়েছে । এর থেকে এ অনুমান করাও অসঙ্গত হবে না, যে প্ৰাণ কখনো অ-প্ৰাণে পরিণত হবে না। তারপর জড়, জীবন ও চৈতন্যের অন্তভূতি যদি এক-তত্ত্ব বার করতেই হয়-তাহলে প্ৰাণকেই জগতের মূল পদার্থ বলে গ্ৰাহ করে নিয়ে আমরা বলতে পারি, জড় হচ্ছে প্ৰাণের বিরাম ও চৈতন্য তার পরিণাম । অর্থাৎ জড়প্রাণের সুপ্ত অবস্থা। আর চৈতন্য তার জাগ্ৰত অবস্থা। এ পৃথিবীতে জড় জীব ও চৈতন্যের সমন্বয় একমাত্র মানুষেই হয়েছে। আমরা সকলেই জানি আমাদের দেহ ও BYS K DBYS DBD S BBLYSS KBD D L DDLD পক্ষে এক লম্ফে দেহ থেকে আত্মায় আরোহণ করা যেমন সম্ভব, দর্শনের পক্ষেও এক লম্ফে আত্মা থেকে দেহে অবরোহণ করাও তেমনি সম্ভব। জাৰ্ম্মাণ দার্শনিক হেকেল এবং জৰ্ম্মাণ দার্শনিক হেগেলের দর্শন আলোচনা করলে দেখা যায় যে জড়বাদী পরমানুর অন্তরে গোপনে জ্ঞান অনুপ্ৰবিষ্ট করে দেন এবং জ্ঞানবাদী জ্ঞানের অন্তরে গোপনে গতি সঞ্চারিত করে দেন। তারপর বাজিকর যেমন খালি মুঠোর ভিতর থেকে টাকা বার করে, এরাও তেমনি জড় থেকে মন এবং মন থেকে জড় বার করেন। এ সব দার্শনিক হাতসাফাইয়ের কাজ। আমাদের চোখে যে এদের বুজরুকি এক নজরে ধরা পড়ে না।--তার কারণ