পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা ३४ांनि फ़िर्टि R\98 তোমার সম্বন্ধে যা বলবার, অলঙ্কার না দিয়ে ঠিক সেইটুকু বলতে গেলে আধখানি পাতও পোরে না। ;-সংক্ষেপে, তোমার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তা বেশ চলছিল।ভােল-হঠাৎ বন্ধ হয়ে একটু যেন বিপদে পড়েছিলুম; তোমার চিঠি পেয়ে আবার কলে জল এল। খানিকটা য’ তা” বাকাবাকি করে বঁাচা যাবে। কিন্তু মুখোমুখি বসে আকার ইঙ্গিত এবং কণ্ঠস্বর-যোগে অবিচ্ছিন্ন আলোচনার মধ্যে যে একটি উত্তাপ আছে, চিঠিতে সেটি পাওয়া যায় না,-সেই উত্তাপে দেখতে দেখতে মনের মধ্যে অনেক ভাবের অন্ধুর বেরিয়ে পড়ে ; অবিশিষ্ঠ, সেগুলো সব যে টিকে যায় তা নয়-অধিকাংশ দ্রুত প্ৰকাশের স্বভাবই হচ্চে দ্রুত বিনাশ । কিন্তু এতে মানসিক জীবনের যে একটা চৰ্চা হয়, সেটা ভারি। আনন্দের এবং কাজেরও। অতএব দিনকতকের জন্যে যদি বোলপুরে আসতে পাের, তাহলে মাঝে মাঝে নানা কথা বলা কওয়ার অবসর ঘটতে পারবে । এখানে বই বহুবিধা আছে ; এখানকার একটা ছোটখাট লাইব্রেরি আছে, তা ছাড়া আমিও কিছু বই সঙ্গে এনেছি। ‘এখেনে গদি-দেওয়া চৌকি, নরম কোঁচ, চিৎ হয়ে শোবার এবং ঠেসান দিয়ে বসবার বিবিধ সরঞ্জাম আছে । অতএব এখেনে শারীরিক এবং মানসিক স্বাধীনতার কোনরকম ব্যাঘাত ঘটবে না । তুমি চুয়োডাঙ্গার যেরকম বৰ্ণনা করেছ, তার সঙ্গে বোলপুরের “প্রাকৃতিক ভূগোলের” অনেক সাদৃশ্য আছে। চারদিকে মাঠ ধু ধু করচে-মাঝে মাঝে এক একটা বঁধ, এবং তার উচু পাড়ের উপর শ্রেণীবদ্ধ তালবন-মাঠের পূর্বপ্রান্তে আকাশ একেবারে অনাবৃত ভূমিতলকে স্পর্শ করে রয়েছে-মাঠের পশ্চিম প্ৰান্তে ঘন বনের রেখা দেখা যায়। মধ্যেকার এই মরুক্ষেত্র অনশনশীৰ্ণ পাণ্ডুবৰ্ণ তৃণে