পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা দুখানি চিঠি : ' : २४७ ক্রিটিকদের কোন পাহাড়ে ঠেকে ডুবি হত বলা যায় না। আমি, এই কথা বলি, যক্ষের পক্ষে কবির আচরণ যেমনি হোক, আমার পক্ষে ভারি সুবিধে হয়েছে-ক্রিটিকের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হয়ে বলুচি, LLLLLLLL BB DSDBD DBDDBDBBB DBLSS BDDD DBDB BBDD কথা মনে পড়চে-যে সময়ে কালিদাস লিখেছিল, সে সময়ে কাব্যে লিখিত দেশ দেশান্তরের নানা লোক প্ৰবাসী হয়ে উজজ্ঞায়িনী রাজধানীতে বাস করত, তাদের ও তা বিরহব্যথা ছিল—এইজন্যে অলকা যদিও মেঘের terminus, তথাপি বিবিধ মধ্যবৰ্ত্তা ষ্টেষনে এই সকল বিরহী হৃদয়দের নাবিয়ে দিয়ে যেতে হয়েছিল । সে সমযকার নানা বিরহকে নানা দেশ বিদেশে পাঠাতে হয়েছিল, তাই জন্যে অলকায় পৌঁছুতে একটু দেরি হয়েছিল-এজন্যে হতভাগ্য যক্ষের এবং তদপেক্ষা হতভাগ্য ক্রিটিকের নিকট কবির সমুচিত apology করা হয় নি-কিন্তু সেটাকে তারা যদি public grievance বলে ধরেন, তাহলে उत्रि जून করা হয়। আমি ত বলতে পারি। আমি এতে খুসি আছি। বর্ষাকালে সকল লোকেরই কিছু না কিছু বিরহের দশা উপস্থিত হয়-এমন কি প্ৰণয়িণী কাছে থাকলেও হয়-কবি নিজেই লিখেছেন - “মেঘলোকে ভবতি সুখিনোই প্যান্যথা বৃত্তিচেতঃ কণ্ঠাশ্লেষে প্ৰণয়িণীজনে, কিং পুনর্দুর সংস্থে!” অর্থাৎ মেঘলা দিনে প্ৰণয়িণী গলায় লেগে থাকলেও সুখী লোকের মন উদাসীন হয়ে যায়-দূরে থাকলে ত কথাই নেই। অতএব কবিকে বর্ষার দিনে এই জগদ্ব্যাপী ৱিরহীমণ্ডলীকে সাস্তুনা দিতে হবে।-- কেবল ক্রিটিককে না। এই বর্ষার অপরাহ্নে ক্ষুদ্র আত্মকোটরের মধ্যে অবরুদ্ধ বন্দী দিগকে সৌন্দর্ঘ্যের স্বাধীনভাক্ষেত্রে মুক্তি দিতে