পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সবুজ পত্ৰ थांबol, s७२8 হবে-আজকের সমস্ত সংসার দুৰ্যোগের মধ্যে রুদ্ধ হয়ে, অন্ধকার হয়ে, বিষন্ন হয়ে বসে আছে। মেঘদূত পড়তে পড়তে আর একটা চিন্তা মনে উদয় হয়। সেকালেই বাস্তবিক বিরহী বিরাহিণী ছিল, এখন আর নেই। পথিকবধুদের কথা কাব্যে পড়া যায়, কিন্তু তাদের প্রকৃত অবস্থা আমরা ঠিক অনুভব কৰ্ত্তে পারি নে। পোষ্ট অফিস এবং রেলগাড়ি এসে দেশ থেকে বিরহ তাড়িয়েছে। এখন ত আর প্রবাস বলে কিছু নেই-তই জন্যে বিরাহিণীরা আর কেশ এলিয়ে, আদ্রতন্ত্রী বীণা কোলে করে ভূমিতলে পড়ে থাকেন না। ডেস্কের সামনে বসে চিঠি লিখে, মুড়ে, টিকিট লাগিয়ে ডাকঘরে পাঠিয়ে দিয়ে, তার পরে নিশ্চিন্ত মনে মানাহার করেন। এমন কি, ইংরাজ রাজত্বেও কিছুদিন পূর্বে যখন ভালরূপ রাস্তাঘাট যানবাহনাদি ও পুলিশের বন্দোবস্ত হয় নি, তখনো প্ৰবাস বলে একটা সত্যিকার জিনিস ছিল-তাই “প্রবাসে যখন যায় গো সে, उांtद्र दक्षिी दक्ीि छांद्र बव्ग श'व्न नl !”- কবিদের এ সকল গানের মধ্যে এতটা করুণা প্ৰবেশ করেছিল। তুমি মনে করেন। আমি এতদূর নির্লজ্জ কৃভন্ন যে, চিঠির মধ্যেই পোষ্ট্য অফিসের বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ করাচি । আমি পোষ্ট অফিসের বিশেষ পক্ষপাতী, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও স্বীকার করাচি যে, যখন মেঘদূত বা কোন প্ৰাচীন কাব্যে বিরাহিণীর কথা পড়ি-তখন মনের মধ্যে ইচ্ছে করে ঐরকম সত্যিকার বিরাহিণী আমার জন্যে যদি কোন প্ৰবাসে বিরহশয়ানে বিলীন হয়ে থাকে, এবং আমি যদি জড় অথবা চেতন কোন দূতের সাহায্যে অথবা কল্পনার প্রভাবে সেটা জানতে পারি।--তাহলেবেশ হয়! স্বদেশেই থাক, বিদেশেই থাক, এবং ভালবাসা যেমনই থাক