পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে বেরিয়ে পড়ে’ কোথায় চম্পট দিয়েছে তা আমাদের লক্ষ্যেই আসে নি। আমরা মনে করেছি।--বেশী হচ্ছে, ঠিক হচ্ছে, সমাতিনত্বের বাতিটা আমরাই ঠিক জ্বালিয়ে বসে আছি। এই নূতনের বার্তা যেখানে যেখানে মান পায় নি। সেখানে সেখানেই মানুষের ভাগ্যে জুটেছে শুধু অপমান। পৃথিবীর ইতিহাসে এর বড় বড় উদাহরণ আছে। আমরাও যদি এই নতুনের বার্তা না শুনি, এই নতুনের সঙ্গে সঙ্গে পা ফেলে চলতে না শিখি তবে এমন একদিন আসূবে যখন আমরা জাতিকে-জাতি এ ধরাধাম থেকে চলে যাব-আর সেটা নির্বাণ মুক্তিলাভ করে” নয়-সজ্ঞান-দুঃখ (ङों कgद्म' दो'। যারা নতুনের মধ্যে কোন সত্যেরই সন্ধান পেয়ে ওঠে না তারা যে এ জগতটাকে অসত্য বলেই ঘোষণা করবে। তাতে আর বিচিত্র কি ? কারণ তাদের কাছে সত্য আর কোথাও নেই, শুধু এক শূন্যে ছাড়া। যেহেতু শূন্যেরই কোন পরিবর্তন নেই। আর যারা শূন্তেই তাদের সব সত্য প্ৰতিষ্ঠা করে’ বসে আছে তাদের যে এ জগতে লাভের ঘরে চারিদিক থেকে খালি শূন্যই জমা হবে সেটা নিতান্তই ন্যায় বিচার। তাদের কথায়, আচারে, ধৰ্ম্মে, কৰ্ম্মে, মৰ্ম্মে শুধু সেই শূন্যই রকমফের হয়ে ফিরবে। এই শূন্যকে পুজি করে কোন জাত কোন দিন বড় হ’তে পারে নি। আর গণিতশাস্ত্রের এ কথাটা ত সবারই জানা আছে যে যত কোটাই হোক না কেন তাকে শূন্য দিয়ে গুণ করলে তার যা গুণফল হয় সেটা শুধু শূন্য। নূতনের মধ্যে আমরা কোন সত্যকে দেখি নে বলে আমরা শৈশবকে হাসূতে দিই নে কৈশোরকে খেলতে দিই নে, যৌবনকে